ভাইফোঁটার শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
পৌরাণিক ভাবে ভাতৃদ্বিতীয়া ভাইফোঁটার
সূচনা হয়েছিলো শ্রীকৃষ্ণর হাত ধরে।শাস্ত্রীয় ভাবে এও অনুষ্ঠানের আলাদা তাৎপর্য এবং ব্যাখ্যা আছে।আজ জানাবো সেই পৌরাণিক ব্যাখ্যা এবং শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা।
পুরান অনুসারে ধনত্রয়োদশীর পরের দিন চতুর্দশী তিথিতে নরকাসুরকে বধ করলেন কৃষ্ণ। তার পর প্রাগজ্যোতিষপুর থেকে দ্বারকায় ফিরে এলেন এই দ্বিতীয়া তিথিতে। কৃষ্ণকে দেখে তার বোন সুভদ্রার উচ্ছ্বাস বাধা মানল না। তিনি বরাবরই কৃষ্ণের আদরের বোন। এই কয়েকদিন তিনি দাদাকে দেখতে পাননি। তার উপর আবার খবর পেয়েছেন সুভদ্রা যে নরকাসুরের অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন কৃষ্ণ। সেই থেকেই তিনি ভাইয়ের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত এবং উদ্বিগ্ন।দ্বারকা পৌঁছতেই কৃষ্ণকে তিনি বসালেন আসনে। তাঁর কপালে পরিয়ে দিলেন বিজয়তিলক এবং নানাবিধ মিষ্টান্ন দিয়ে তাকে আপ্যায়ন করলেন। সেই প্রথাই স্বীকৃত হল ভ্রাতৃদ্বিতীয়া বা ভাইফোঁটা নামে।
আরো আর একটি পৌরাণিক ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায় ভাইফোঁটা নিয়ে যেখানে বর্ণনা আছে আজকের তিথিতে যমরাজ গিয়েছিলেন বোন যমুনার সঙ্গে দেখা করতে । যমুনা কপালে তিলক পরিয়ে তার অগ্রজকে বরণ করে নিয়েছিলেন দিনে এবং তার মঙ্গল কামনা করেছিলেন।
সেই থেকে সহোদরের মঙ্গলকামনায় পালিত হয়ে আসছে ভ্রাতৃদ্বিতীয়া।
আজ বাংলা প্রত্যেক বোনই তার ভাইয়ের কল্যানে তার কপালে তিলক পড়িয়ে দেন, মিষ্টি মুখ করান, এবং প্রার্থনা করেন যেনো তার ভাইয়ের থেকে দুরে থাকে সব বিপদ|প্রত্যেক বোন ও তার ভাইয়ের সম্পর্ক যেনো সুদৃঢ় হয় এই কামনাই করি। সবাইকে জানাই ভাতৃদ্বিতীয়ার অনেক শুভেচ্ছা|
ফিরে আসবো আগামী কালী কথা নিয়ে।
থাকবে একটি বিশেষ কালী মন্দির নিয়ে আলোচনা।পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।