কালী কথা – মহাসরস্বতীর পুজো

31

কালী কথা – মহাসরস্বতীর পুজো

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

বাঁকুড়া শহর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে দ্বারকেশ্বর নদীর তীরে রয়েছে মহাসরস্বতীর মন্দির। প্রতি বছর এই মন্দিরে কালীপুজোর দিন ধুমধাম করে মহাসরস্বতীর পুজো হয়।আজকের কালী কথায় এই মহাসরস্বতী পুজোর
কথা লিখবো

পুজোর মূল দায়িত্বে থাকেন গ্রামের চৌধুরী পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয় চৌধুরী পরিবারের এক পূর্ব পুরুষ বিন্ধ্যাচলে গিয়েছিলেন। সেখানেই দেবীর স্বপ্নাদেশ পান। এরপর গ্রামে ফিরে মহাসরস্বতীর পুজো শুরু করেন।
পরবর্তীতে নিজের ভাই দের পুজোর দায়িত্ব দিয়ে বৃন্দাবনে চলে যান সেই পূর্ব পুরুষ। এখন এই পুজো পরিচালনার ভার এই পরিবারের সদস্যরাই বহন করে চলেছেন।

প্রতি অমাবস্যায় এখানে কালীপুজো হয়। তবে দীপাণ্বিতা কালীপুজোয় প্রচুর ভিড় হয়। বাইরে থেকে লোকজন আসেন এখানে। নানারকম অনুষ্ঠানও হয়। যাত্রা, কীর্তন এবং নানা রকম অনুষ্ঠান হয়। এখানে রীতি অনুসারে পুজো রাত বারোটার টার আগে শুরু হয় না।

দেবী মহাসরস্বতী সিংহের উপর উপবিষ্ট, অষ্টভূজা। বাঁ পায়ের নিচে অসুর। দু’পাশে রয়েছে ডাকিনী যোগিনীও। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর, নারায়ণ, গণেশ ও দুই সখীও রয়েছে সঙ্গে।

বহু বছর আগে মাটির প্রতিমায় পুজো হলেও এখন পাথরের মূর্তি গড়া হয়েছে। তবে প্রস্তর মূর্তিতে নিয়ম মেনে মাটি ছোঁয়ানো হয়। মাটি ছোঁয়াতে আসেন নিদ্দিষ্ট পরিবারের এক ব্যক্তি। আগে এখানে বলি প্রথা ছিল তা এখন হয়না তবে পুরোনো সমস্ত নিয়ম ও আচার মেনে এখনও পুজো হয় মহা সরস্বতীর।

ফিরে আসবো কালী কথা নিয়ে আবার পরবর্তী পর্বে। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।