120

বর্ধমানের বিরহাটায় আছে এক জাগ্রত এবং অতি

প্রসিদ্ধ কালী মন্দির। এই মন্দির বিরহাটা কালী মন্দির নামে খ্যাত এবং দেবীকে স্থানীয়রা বড়মা বলে ডাকেন। আজ এই কালী মন্দিরের ইতিহাস আপনাদের জানাবো।

 

জনশ্রুতি আছে এক সময়ে বর্গী বা ডাকাত দের থেকে বাঁচতে স্থানীয় লোক জন বর্গী হটাও অভিযান চালায়। আর আজকের এই বীরহাটা শব্দটি বর্গী হটাও শব্দেরই পরিবর্তিত রূপ। আবার অনেকের মতে অনেক বীরাচারী সন্ন্যাসী প্রাচীন কালে এখানে আসতেন। বীরহাটা এই

নামকরণ হয়েছে সেখান থেকেই।

 

এই মন্দিরের প্রাচীত্ত্ব নিয়ে কারুর মনে সংশয় নেই তবে প্রতিষ্ঠার সঠিক দিন ক্ষণ জানা যায়না।বহু প্রচীন কাল থেকে দেবী এখানে রক্ষা কালী রূপে অবস্থান করছেন। পরবর্তীতে বর্ধমানের রাজা এবং স্থানীয় বিত্ত শালী পরিবার গুলির চেষ্টায় উনবিংশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে বাঁশ খড় তালপাতার ছাউনি ঘেরা দিয়ে, শক্তপোক্ত ভাবে বেদীটিকে পুনর্ণিমান করা হয়। এই জায়গার ঘন জঙ্গল পরিষ্কার করা হয়। ত্রম্বকেশ্বরে শিব মন্দিরের চূড়ার আদলে এই মন্দিরের চূড়া এবং মন্দির অলঙ্কৃত করা হয়। শাস্ত্র মতে প্রতিষ্ঠিত হয় বিরাট এক কালী মূর্তি।

 

বীরহাটার বড়মা কালীর প্রতিষ্ঠার সঠিক ইতিহাস জানা না গেলেও এ সম্পর্কে যে জনশ্রুতি আছে

শোনা যায় যে যখন জি.টি. রোডের পীচ রাস্তা হচ্ছিল সেই সময়েও এই দেবী বিরাজমান ছিলেন। তখন এই অঞ্চল ছিল জঙ্গলে জঙ্গলে পূর্ণ এই স্থানে রাস্তা নির্মানের সময়ে একটি বেদীর অস্তিত্ব পাওয়া যায়।অস্থায়ী ভাবে ছাউনী বানিয়ে শুরু হয় পুজো।সেই সময়ে এই রক্ষাকালী পুজো করা হত যেকোনো মহামারির আবির্ভাব ঘটলে তার থেকে মুক্তিলাভের জন্য।

 

আজও সেই বিশ্বাস এবং ভক্তি অটুট আছে বড়মার প্রতি। আজও অসংখ্য ভক্ত আসেন নিজেদের মনোস্কামনা নিয়ে।বিশেষ বিশেষ তিথিতে বহু মানুষের ভিড় হয়।

 

ফিরে আসবো আগামী পর্বে। থাকবে

বাংলার অন্য একটি কালী মন্দিরের ইতিহাস

এবং অলৌকিক ঘটনা। পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।