একান্ন পীঠ – ত্রিপুর মালিনী

59
পাঞ্জাবের জলন্ধরে রয়েছে অন্যতম তাৎপর্য পূর্ণ শক্তি পীঠ ত্রিপুর মালিনী। আজকের পর্বে এই শক্তি পীঠের কথা লিখবো ।জানবো
তার আধ্যাত্মিক মহাত্মা তবে এই যেখানে অবস্থিত সেই জ্বলন্ধর সম্পর্কে পৌরাণিক একটি ঘটনা
বলে দিই।
বহু প্রাচীন কালে জ্বলন্ধর নামে এক অত্যাচারী অসুর এই স্থানে শাসন করতো তার অত্যাচারে অতিষ্ট ধরিত্রীকে রক্ষা করতে ত্রিশুল দিয়ে জলন্ধর অসুরের মস্তক ছিন্ন করে তাকে বধ করেন শিব এবং ত্রিপুর মালিনী শক্তি পীঠের কাছেই তাকে সমাধি দেওয়া হয়। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরানে এই ঘটনার উল্লেখ আছে।
পীঠ নির্ণয় তন্ত্র এবং কালীকা পুরানে এই শক্তি পীঠের উল্লেখ আছে। পুরান মতে দেবীর ডান
বক্ষ এই স্থানে পতিত হয়েছিল। দেবীর নাম এখানে ত্রিপুর মালিনী আর ভৈরব হলেন ভীষণ।
আদি শঙ্করাচার্য্য তার অষ্টাদশ পীঠ বর্ণনায় শক্তিপীঠ ত্রিপুর মালিনীর উল্লেখ করেছেন। মহাভারতের বন পর্বেও এই শক্তিপীঠের উল্লেখ আছে।
ত্রিপুর মালিনী শক্তি পীঠে দেবীর মন্দির অতি প্রাচীন এবং খুবই মনোরম পরিবেশে অবস্থান করছে।মন্দিরের গর্ভে রয়েছে লক্ষী, সরস্বতী, মা বৈষ্ণবদেবীর তিনটি মূর্তি। পাশাপাশি মন্দিরের পাশে একটা ঘরে মায়ের শয্যা স্থান রয়েছে যেখানে মায়ের বিছানা সাজানো রয়েছে। লোকোমুখি শোনা যায় দুপুরের ভোগ গ্রহণ করার পর সেই বিছানাতে বিশ্রাম গ্রহণ করেন দেবী ত্রিপুর মালিনী।
নবরাত্রি সহ প্রায় সব বিশেষ তিথিতেই এখানে বড়ো আকারে পুজো হয় এবং সেই উপলক্ষে
বহু ভক্তের সমাগম হয়।
ফিরে আসবো আগামী পর্বে। থাকবে অন্য
এক শক্তি পীঠ নিয়ে শাস্ত্রীয় আলোচনা এবং পৌরাণিক ব্যাখ্যা। পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।