একান্নপীঠ – পাটনেশ্বরী

44
ভারতের একান্নটি সিদ্ধ শক্তি পীঠের মধ্যে
একটি পাটনেশ্বরী শক্তিপীঠে। পুরান মতে
দেবী সতীর ‘ডান উরু’ এই স্থানে পড়েছিল।
আজকের পর্বে এই শক্তিপীঠ নিয়ে লিখবো।
বিহারের পাটনায় অবস্থিত এই ঐতিহাসিক পাটনেশ্বরী মন্দির।সর্ব প্রথম পাটন দেবী মন্দিরটি গুপ্ত রাজবংশের দ্বারা খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল বলে মনে করা হয়। পরবর্তীতে সেই প্রাচীন মন্দির কোনো ভাবে কালের গহব্বরে অদৃশ্য হলে পুনরায় মুঘল সম্রাট আকবরের সেনাপতি মান সিং ওই মন্দির স্থাপন করেছিলেন। দেবীর মন্দিরে দূর্গা সহ গণেশ, বিষ্ণু এবং সূর্য দেবের মূর্তি রয়েছে এবং নিয়মিত
তাদের পুজো হয়।
মন্দিরের মূর্তিগুলো সবই কালো পাথরে তৈরি। মন্দিরের প্রবেশপথে একটি বারান্দা রয়েছে। এর পরে, মহাকালী, মহালক্ষ্মী, মহা সরস্বতী। ভৈরব ব্যোমকেশের জন্য রয়েছে আলাদা কক্ষ।
পাটনেশ্বরী শক্তিপীঠে ভৈরব ব্যোমকেশ নামে পরিচিত। দেবী সতীকে এখানে পাটনেশ্বরী রূপে পুজো করা হয়।মনে করা হয় দেবীর নামেই এই শহরের নাম হয় পাটনা।
মন্দিরের গর্ভ গৃহে একটি রাজকীয় সিংহাসনে দেবী মূর্তি রাখা আছে। মূর্তির উচ্চতা প্রায় সাত ফুট। বিশেষ বিশেষ দিনে দেবীর বিশেষ অঙ্গ সজ্জা হয় সেই সময়ে দেবীকেপরানো হয় বিশেষ শাড়ি।
দূর্গাপুজো বা নব রাত্রি এই শক্তিপীঠের প্রধান উৎসব এবং এই সময়ে অসংখ্য ভক্ত সারা দেশ থেকে এই শক্তিপীঠে আসেন এবং নিজের মনোস্কামনা জানিয়ে পুজো দেন।এই সময়ে এখানে দেবীর উদ্দেশ্যে নারকেল নিবেদনের রীতি আছে।
ফিরে আসবো অন্য একটি শক্তি পীঠের ইতিহাস নিয়ে আগামী পর্বে। এখনো বহু শক্তিপীঠ সম্পর্কে আলোচনা বাকি আছে। ধারাবাহিক ভাবে এই একান্ন পীঠ নিয়ে পর্ব গুলি চলতে থাকবে।
পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।