দেবী মাহাত্ম – নানেদের কালী মন্দিরের ইতিহাস

130

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

শহর কলকাতার বুকে যে কয়টি জাগ্রত এবং ঐতিহাসিক কালীমন্দির রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম নানেদের কালী মন্দির। সামনেই রথ যাত্রা যে উৎসবের সাথে এই মন্দিরের সম্পর্ক রয়েছে।
সেটা পরে বলছি আগে আগে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা
নিয়ে যে বর্ণময় ইতিহাস শোনা যায় সেটা জেনে নেয়া যাক। জানেন হয়তো উত্তর কলকাতায় হেদুয়া পার্কের কাছে এই মন্দির রয়েছে।

শোনা যায় কৃষ্ণচন্দ্র সিংহ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বারাণসী থেকে কষ্টিপাথরের বিগ্রহ নিয়ে আসেন এই স্থানে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। সেই সময়ে ঈশ্বর চন্দ্র নান ছিলেন কৃষ্ণ চন্দ্রের পরিচিত এই শহরের অত্যান্ত প্রভাবশালী এবং ধনী ব্যাক্তি।সেই কোষ্টি পাথরের দেবী যেন চেয়েছিলেন তিনি ঈশ্বরচন্দ্র নানের মন্দিরেই প্রতিষ্ঠিত হবেন। কৃষ্ণচন্দ্র নানা কারণে আর তাই দেবীকে প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি।বার বার বাঁধা আসে। স্বপ্নাদেশের কথাও শোনা যায়।শেষ পর্যন্ত তিনি ঈশ্বরচন্দ্র নানের হাতে বিগ্রহকে স্থাপনের ভার সঁপে দেন। এরপরই মন্দির তৈরি করে বিগ্রহটি স্থাপন করেন ঈশ্বরচন্দ্র নান।সেই থেকে নানেদের কালী নামেই দেবী পরিচিত।

এই কালীমন্দিরটি বেদির ওপর তৈরি। এর গর্ভগৃহের সামনে ভক্তদের দাঁড়ানোর জন্য অন্যান্য বড় মন্দিরের মতই অলিন্দ আছে।এক রথ যাত্রার পবিত্র দিনে শাস্ত্র মতে দেবী মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো।দেবী কে নিস্তারিণী কালী নামে ডাকা হয়।বর্তমানে এই মন্দিরের সামনের দু’পাশে আটচালা দুটি শিব মন্দিরে আছে এবং সেখানে দুটি আছে দুটি কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ। এই মন্দিরে দেবী নিস্তারিণীর পাশাপাশি শিবলিঙ্গেরও নিত্যপুজো হয়।অমাবস্যায় দেবীর পুজো ও হোমের আয়োজন থাকে।শ্যামাপূজার দিন বিশেষ পূজা তো হয়ই। মন্দিরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতেও আয়োজিত হয় বিশেষ পুজো।

শোনা যায় এই মন্দিরে বিভিন্ন সময় বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি এসেছেন এবং দেবীর আশীর্বাদে পেয়ে ধন্য হয়েছেন। আপনারাও চাইলে দর্শন করে আসতে পারেন অপূর্ব এই কালী ক্ষেত্র।

আগামী ১৭ ই জুন তারাপীঠে গ্রহ দোষ
খন্ডনের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন।
আসন্ন আষাড় অমাবস্যা ও অম্বুবাচি উপলক্ষে
চলতে থাকবে দেবী মাহাত্ম এবং মন্দির রহস্য নিয়ে আলোচনা।পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।