মন্দির রহস্য – জীবন্ত শিব লিঙ্গ

279

বীরভূমের দুবরাজপুরে পাহাড় এবং অরণ্য পরিবেষ্টিত একদা দুর্গম স্থানে রয়েছে বহু চর্চিতদুটি পাহাড় যার পোশাকি নাম মামা ভাগ্নে।আসলে একটি পাহাড়ের নাম মামা ওপরটির নাম ভাগ্নে। এই পাহাড়েই আছে এক অদ্ভুত শিব মন্দির। শিব মন্দিরে রয়েছে একটি রহস্যময় শিব লিঙ্গ। কেনো এই শিব লিঙ্গ অদ্ভুত এবং রহস্যময় সেটাই জানাবো আজকের পর্বে।শিব মন্দির টির নাম তিলেশ্বর শিব মন্দির। সেই মন্দিরের শিবলিঙ্গ নাকি প্রতিদিন তিল তিল করে বড়ো হচ্ছে। সেকারণেই এই মন্দিরের নাম তিলেশ্বর শিবমন্দির।শোনা যায় এক কালে শয়ম্ভু একটি ছোট্ট শীল আকারে ছিলো এই শিব লিঙ্গ পরবর্তীতে সেই ছোট্ট শিলা থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে বাড়তে শিবলিঙ্গটি বিশালাকার নিয়েছে।এবং সেই অদ্ভুত শিব লিঙ্গকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে আজকের তিলেস্বর শিব মন্দির।পৌরানিক তথ্য অনুসারে যখন প্রভু রামের সেনা যখন হিমালয় থেকে সেতু বন্ধনের পাথর নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তার কিছু অংশ এই খানে পড়ে সেই পাথর থেকেই মামা ভাগ্নে পাহাড়ের উত্‍পত্তি হয়েছে।আবার অনেকে মনে করেন মহাদেবের নির্দেশে বিশ্বকর্মা যখন দ্বিতীয় কাশী তৈরি করছিলেন তখন কিছু পাথর এখানে পড়ে যায় সেই থেকেই মামা ভাগ্নে পাহাড়ে তৈরি হয়েছে।পাহাড়ের একটি অংশে রয়েছে পাহাড়েশ্বর আশ্রম। এখানে একটি যজ্ঞকুণ্ডও রয়েছে সেটি এখনও জ্বলছে।ব্রিটিশ আমলে পুলিশের তাড়া খেয়ে বেশ কিছু দিন নাকি রঘু ডাকাত এই মামা ভাগ্নে পাহাড়ে ডেরা গেরেছিল।এখানে সেই সময়ে তৈরী রঘু ডাকাতের গুহাও রয়েছে।বিখ্যাত বক্রেশ্বর শক্তি যোনি পিঠও দুবরাজপুরের এই মামা ভাগ্নে পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় আছে।সব মিলিয়ে স্থানটির অপরিসীম আধ্যাত্মিক গুরুত্ব রয়েছে।ফিরে আসবো পরের পর্বে। দেবী মাহাত্ম নিয়ে যথা সময়ে। থাকবে এমন অনেক আধ্যাত্মিক ও রহস্যময় বিষয় নিয়ে আলোচনা। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।