জ্যোতিষ শাস্ত্রে রত্ন যেমন একটি প্রতিকার তেমনই রুদ্রাক্ষ একটি অতি শক্তিশালী প্রতিকার। ভুল রত্ন ধরণে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে কিন্তু রুদ্রাক্ষ সেই দিক দিয়ে অনেকটাই নিরাপদ। তাই দিন দিন রুদ্রাক্ষর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। আজকের পর্ব সাত আট ও নয় মুখী রুদ্রাক্ষ নিয়ে।সাত মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে দুর্দশা দূর হয়। বাণিজ্যে সাফল্য আসে। যে ব্যক্তির অত্যধিক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে এবং তা কাটিয়ে ওঠার কোনও উপায় তাঁর হাতে নেই তাঁদের রুদ্রাক্ষ পরা উচিত।অধিষ্ঠাত্রী দেবী মহালক্ষ্মী। নিয়ন্ত্রণ করে শনি।ওম হুম নম: মন্ত্র জপ করে এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিত। সপ্তমুখী রুদ্রাক্ষ সাক্ষাৎ কামরূপ। এটি রোগ নিবারক ও সমৃদ্ধিশালী। এটি দুর্গার প্রভাবে পুর্ণ। তাই হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেয়। শনিবার এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে হয়।শনির সাড়েসাতি বা ঢাইয়া যদি কারুর প্রতিকূলতার কারন হয় তারা সাত মুখী রুদ্রাক্ষ ধারন করলে বিশেষ উপকার পাবেন।অষ্টমুখী রুদ্রাক্ষ- রাহু গ্রহের মারকতা নাশার্থে ধারণ করা হয়। এই রুদ্রাক্ষের দুটি নাম বিনায়ক ও বটুকভৈরব।এই রুদ্রাক্ষ ধারণে হঠাত্ আঘাত পাওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। দুষ্কৃতকারীদের হাতে আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। রাশিচক্রে শনি ও রাহু অশুভ থাকলে উক্ত রুদ্রাক্ষ যথাবিধি সংস্কারপূর্বক পুরুষের ডান বাহুতে এবং স্ত্রীলোকের বাম বাহুতে ধারণীয়।অধিষ্ঠাতা দেবতা গণেশ। নিয়ন্ত্রক গ্রহ রাহু।শাস্ত্রে আছে আট মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণে বাধা-বিপত্তি দূর হয়। শত্রুনাশ হয়। ওম হুম নম: মন্ত্র জপ করে এই রুদ্রাক্ষ পরলে রোগ মুক্তিও ঘটে।যাদের জন্ম ছকে গ্রহণ দোষ আছে তারা এই রুদ্রাক্ষ পড়লে গ্রহণ দোষের কুপ্রভাব থেকে মুক্ত থাকবেন।নয় মুখী রুদ্রাক্ষর অধিষ্ঠাত্রী দেবী দুর্গা। নিয়ন্ত্রক গ্রহ কেতু। ধারকের জীবনে শক্তি সঞ্চারিত হয়, ভয় দূর হয়। যারা বারবার বাধাগ্রস্ত হন, সময়কালে বুদ্ধি ভ্রম ঘটে থাকে তারা নয় মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারেন। এই রুদ্রাক্ষকে ন’ দেবীর স্বরূপ মনে করা হয়। সমাজে প্রতিষ্ঠার ইচ্ছে থাকলে, এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিত। এক্ষেত্রে ওম হ্রীং হুম নম: মন্ত্র জপ করতে হয়।যাদের জন্মছকে কাল সর্প দোষ আছে তারা এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে বিশেষ ভাবে সুফল পাবেনবাকি থাকলো রুদ্রাক্ষ নিয়ে আরো অনেক কথা। সেসব নিয়ে ফিরে আসবো আগামী পর্বে। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।