কালীকা পুরান – ভৃঙ্গী ও মহাকাল

342

কালীকা পুরানে দেবী কালীকা শুধু নয় শিব ও শিবের অনুচর সংক্রান্ত বহু তথ্য রয়েছে, রয়েছে বহু পৌরাণিক ঘটনা ও তার ব্যাখ্যা|আজ লিখবো শিবের অনুচর ভৃঙ্গী ও মহাকালের কথা| কালীকা পুরান অনুসারে ভৃঙ্গী ও মহাকাল দুজনেই শিবের অনুচর। একবার শিব পাৰ্বতীর সঙ্গে কৈলাশে ভ্রমন করছিলেন সেই সময় ভূঙ্গী ও মহাকাল দ্বাররক্ষক রূপে নিযুক্ত ছিল। গোপনে তারা শিব ও পার্বতীর অনুশাসন ভেঙে শিব ও পার্বতীকে একত্রে দেখে ফেলে এবং তাতে পার্বতী ক্রুদ্ধ হয়ে এদের মনুষ্যযোনিতে জন্ম হবে বলে অভিশাপ দেন|পরবর্তীতে ভৃঙ্গী ও মহাকাল শিবানীর কাছে প্রার্থনা করে যে শিব ও শিবানীও যেন মনুষ্যরূপে জন্মগ্রহণ করেন কারন তারা শিবানীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করতে চায় । শিব দক্ষের পৌত্র পৌষ্যের পুত্ররূপে জন্মগ্রহণ করে। তখন তাঁর নাম হল চন্দ্ৰশেখর। ওদিকে শিবানী ইক্ষাকুবংশীয় এক রাজকন্যারূপে জন্মগ্রহণ করেন । তখন, তার নাম হল তারাবতী । চন্দ্ৰশেখরের সঙ্গে তারাবতীর বিবাহ হয় । তঁদের দুটি বানর পুত্র জন্মগ্রহণ করে । তারাই হচ্ছে বেতাল ও ভৈরব অর্থাৎ ভৃঙ্গী ও মহাকালের মনুষ্য যোনি| মহাদেবের আরও অনুচর ছিল যাদের উল্লেখ আছে কালীকা পুরানে যথা কুবের, নন্দী, ভূঙ্গী, মহাকাল,বেতাল, যোগিনী, ভৈরবী, যক্ষ, রাক্ষস ইত্যাদি।এদের সৃষ্টি সম্পর্কে বলা হয়েছে ব্ৰহ্মা প্ৰথম জল সৃষ্টি করেন । তারপর সেই জল রক্ষার জন্য যে প্ৰাণীদের সৃষ্টি করেন তার হল রাক্ষস । যক্ষদের রাজা হলেন কুবের । কৈলাসের অলকাপুরীতে তার বাসস্থান । কুবের মহাদেবের ধনরক্ষক । তিনি মানুষকে ধনপ্রদান করেন । আবার যোগিনীরা শিবানীর সহচরী। তারা বিভিন্ন সময়ে শিবানীকে সাহায্য করে ও তাঁর আদেশ অনুসারে কাজ করে । যোগিনীরা সংখ্যায় চৌষট্টি জন । তাদের মধ্যে প্ৰধান হচ্ছে ভৈরবী । তিনি দশমহাবিদ্যার অন্যতমা|এই সব তথ্য আমরা পাই কালীকা পুরান সহ একাধিক গ্রন্থে| আগামী পর্বগুলিতে কালীকা পুরান অনুসারে আরো অনেক পৌরাণিক ঘটনা নিয়ে আবার ফিরে আসবো|পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|