মন্দির রহস্য – অষ্ট বিনায়ক মন্দির

414

আজ মন্দির রহস্য পর্বে একটি নয় আটটি ভিন্ন ভিন্ন মন্দিরের কথা লিখবো |আটটি গণেশ মন্দির, যেগুলিকে একত্রে অষ্টবিনায়ক মন্দির বলা হয়|শিবের পুজোর জন্য দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ ও শক্তির আরাধনার জন্য যেমন ৫১ শক্তিপীঠের উল্লেখ পাওয়া যায়, তেমনই গণেশের আরাধনার জন্য ৮টি পবিত্র মন্দির রয়েছে যাকে অষ্টবিনায়ক বলা হয় উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো ৮টি মন্দিরই মহারাষ্ট্রে অবস্থিত। প্রথমটি হলো ময়ূরেশ্বর মন্দির, পুণে শহর থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূরে গণেশের এই পবিত্র ধাম অবস্থিত। মনে করা হয় এই স্থানেই ময়ূরে সওয়ার হয়ে সিন্ধুরাসুর নামক রাক্ষস বধ করেছিলেন গণেশ। তাই এই মন্দিরের নাম ময়ূরেশ্বর মন্দির। দ্বিতীয়টি হলো সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির,মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরে ভীম নদীর ধারে অবস্থিত গণেশের এই মন্দির। পাহাড়ের চূড়ায় নির্মিত এই মন্দির সম্পর্কে প্রচলিত আছে যে, এই পবিত্র স্থানেই সিদ্ধি অর্জন করেছিলেন স্বয়ং শ্রী বিষ্ণু। তৃতীয়টি হলো বল্লালেশ্বর মন্দির, গণপতির এই সিদ্ধ মন্দির মহারাষ্ট্রের কুলাবা জেলার পালী নামক স্থানে অবস্থিত।অদ্ভুত স্থাপত্য শৈলীর জন্য বল্লালেশ্বর মন্দিরে গণেশের ওপর সরাসরি সূর্য কিরণ পড়ে।গণেশের অন্যতম ভক্ত বল্লালের নাম অনুসারে এই মন্দিরের এমন নামকরণ করা হয়। চতুর্থ মন্দিরটি হলো, বরদ বিনায়ক যেটা কোলহাপুরে অবস্থিত। প্রচলিত আছে, এই মন্দিরে গণেশ দর্শন করলে ব্যক্তির সমস্ত মনোস্কামনা পূর্ণ হয়।পঞ্চম মন্দিরটি হলো, চিন্তামণী মন্দির,এখানে নিজের ভক্তদের সমস্ত চিন্তা দূর করে থাকেন গণেশ। তাঁর এই মন্দির পুণা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে থেউর গ্রামে অবস্থিত। গণেশের পরম ভক্ত মোরয়া গোসাবী এই মন্দির স্থাপন করেন।ষষ্ঠ স্থানে আছে গিরিজাত্মজ অষ্টবিনায়ক মন্দির, পুণা শহর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে এক গ্রামে অবস্থিত গণেশের এই সিদ্ধ মন্দির।বহু যুগ আগে পর্বত খোদাই করে এই গিরিজাত্মজ মন্দির নির্মাণ করা হয়েছিল|সপ্তম স্থানে আছে বিঘ্নেশ্বর অষ্টবিনায়ক মন্দির,মহারাষ্ট্রের ওঝর জেলার জূনর অঞ্চলে গণেশের এই মন্দির অবস্থিত। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী গণেশ এই অঞ্চলে বিঘনাসুর নামক রাক্ষস বধ করে এই অঞ্চলের জণগণকে রক্ষা করেছিলেন|অষ্টম তথা অষ্টবিনায়কের শেষ মন্দির মহাগণপতি মন্দির যা পুণা থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে রাজণগ্রামে অবস্থিত। গণেশের এই মন্দির বহু প্রাচীন। নবম থেকে দশম শতাব্দীর মধ্যে এই মন্দির নির্মিত।গণপতি এখানে মহোৎকট নামেও পরিচিত।সিদ্ধিদাতা গণেশর এই আট মন্দির দর্শনেই সব কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব বলে বিশ্বাস করেন অনেকে।ফিরে আসবো পরের পর্বে নতুন কোনো মন্দিরের রহস্য নিয়ে|পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|