নব দুর্গার সপ্তম রূপ হল কালরাত্রি। বিভিন্ন অস্ত্র ও গহনায় সজ্জিত হয়ে দেবী ধরা দেন কালরাত্রি রূপে|দেবী কৃষ্ণবর্ণা ও ত্রিনয়না|দেবীর বাহন গর্ধব|চতুর্ভুজা দেবী ভীষণদর্শনা|দেবীর তিন হাতে অস্ত্র | এক হাতে ভক্তদের প্রতি বরাভয় | এই রূপের আরাধনায় কেটে যায় সব সংকট|কালরাত্রি দুর্গাপূজার সপ্তম দিনে পূজিত হন।শাক্ত শাস্ত্রানুযায়ী, “সেই দিন সাধকের মন সহস্রার চক্রে অবস্থান করে। তাঁর জন্য ব্রহ্মাণ্ডের সকল সিদ্ধির দ্বার অবারিত হয়ে যায়। এই চক্রে অবস্থিত সাধকের মন সম্পূর্ণভাবে মাতা কালরাত্রির স্বরূপে অবস্থান করে। তাঁর সাক্ষাৎ পেলে সাধক মহাপুণ্যের ভাগী হন। তাঁর সমস্ত পাপ ও বাধাবিঘ্ন নাশ হয় এবং তিনি অক্ষয় পুণ্যধাম প্রাপ্ত হন।সনাতন ধর্মীরা বিশ্বাস করেন, কালরাত্রি দুষ্টের দমন করেন,অশুভ গ্রহের বাধা দূর করেন এবং ভক্তদের আগুন, জল, জন্তুজানোয়ার, শত্রু ও রাত্রির ভয় থেকে মুক্ত করেন।তারা বিশ্বাস করেন, কালরাত্রির উপাসক তাকে স্মরণ করলেই দৈত্য, দানব, রাক্ষস, ভূত ও প্রেত পালিয়ে যায়।কালরাত্রির রূপ ভয়ংকর হলেও তিনি শুভফলের দেবী।তার অপর নাম শুভঙ্করী|ভগবত্ পুরাণ অনুসারে দেবী কালরাত্রি চণ্ড ও মুণ্ডর চুলের মুঠি ধরে তা ধড় থেকে আলাদা করে দেন। চণ্ড ও মুণ্ডের হত্যা করার জন্য দেবী কালরাত্রি চামুণ্ডা নামেও পরিচিত।যারা কালরাত্রি রূপের পুজো করবেন তারা পুজোয় অবশ্যই ভোগ হিসেবে ক্ষীর ও খিচুড়ি নিবেদন করবেন|দেবীর প্রিয় ফুল হল রক্তজবা। ১০৮টি জবা ফুল দিয়ে গাঁথা মালা দেবীর চরণে অর্পণ করতে হয়।গুরুত্বপূর্ণ এই সময়ে যেকোনো গ্রহ দোষ খণ্ডন ও জ্যোতিষ প্রতিকারের জন্যে যোগাযোগ করুনআগামী পর্বে ফিরবো পরবর্তী রূপ নিয়ে|দেখতে থাকুন |