আজ দশ মহাবিদ্যা পর্বে আলোচনা করবো দেবী বগলা রূপ নিয়ে|জানাবো তার আধ্যাত্মিক তাৎপর্য তার রূপের ব্যাখ্যা ও পৌরাণিক এক ঘটনা যে ঘটনার মাধ্যমে উৎপত্তি হচ্ছে দেবী বগলার|দশমহাবিদ্যার অষ্টম রূপ বগলা।বগলামুখী দেবী সিদ্ধবিদ্যা ও পীতাম্বরাবিদ্যা এই নামে প্রসিদ্ধ।রুরু নামক দৈত্যের পুত্র দুর্গম দেবতাদের চেয়ে বলশালী হওয়ার জন্য ব্রহ্মার তপস্যা করে বরপ্রাপ্ত হন। দেবতারা তখন দেবী ভগবতীর আরধনা করেন। দেবী আর্বির্ভূত হয়ে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন।এই যুদ্ধে দেবীর দেহ হতে কালী, তারা, ভৈরবী, রমা, মাতঙ্গী, বগলা,কামাক্ষী, জম্ভিনী, মোহিনী, ছিন্নমুণ্ডা, গুহ্যকালী প্রভৃতি মহাশক্তি বের হয়ে যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন ও অশুভ শক্তি পরাজিত হয় দেবীর সম্মুখে|দেবীর গায়ের বর্ণ পীত। বসন পীত বর্ণ। সুধা সমুদ্রের মাঝে সিংহাসনে উপবিষ্টা। এঁর বাহন শব। দ্বিভূজ দেবী বাম হাতে দুর্গম অসুরের জিহবা ধরে আছেন ও ডান হাতে গদা দিয়ে শত্র দমন করেন তিনি|বগলামুখী দেবি পীতবস্ত্রা, পীতপুস্পপ্রীয়া, এবং পীতঅলঙ্কারধারিনি।জ্যোতিষ ও তন্ত্র শাস্ত্রে দেবী বগলা মুখীর গুরুত্ব অপরিসীম|শাস্ত্র মতে বগলামুখীর আরাধনা করলে শত্রুদের বিনাশ, জীবনে সাফল্য এবং অশুভ শক্তির কাছে জয় লাভ হয়।দেবী বগলামুখীর মন্ত্র সাধকের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করতে পারে। বগলামুখী মন্ত্র সমস্ত ধরণের বাধা থেকে মুক্তি দেয়, রোগ এবং দুর্ঘটনার দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা থেকে রক্ষা করে এবং সুরক্ষা দেয়।জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে দেবী বগলামুখী হলেন মঙ্গলগ্রহের ইষ্টদেবী তাই যাদের মঙ্গল পীড়িত বা মাঙ্গলিক দোষের জন্য যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের দোষ খন্ডনে বগলামুখী দেবীর স্মরন নেয়া হয় শাস্ত্র সম্মত পদ্ধতিতে|ফিরে আসবো দশ মহাবিদ্যার পরের রূপ তার সাথে আরো অনেক পুরান, জ্যোতিষ ও তন্ত্র সংক্রান্ত আলোচনা নিয়ে|পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|