তন্ত্র শাস্ত্র ও কৌশিকী অমাবস্যা

592

সামনেই কৌশিকী অমাবস্যা তন্ত্র জগতের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ তিথি|তারাপীঠে কৌশিকী অমাবস্যা তিথি তারানিশি রূপে পালিত হয়|আজ আপনাদের কৌশিকী অমাবস্যা ও তারাপীঠ এবং তন্ত্র শাস্ত্রের সম্পর্ক নিয়ে বলবো|তারা পীঠ ও দেবী তারার সাথে এই কৌশিকী অমাবস্যা ওতপ্রোত ভাবে জড়িত তার কারন দশ মহাবিদ্যার অন্যতম মা তারা এই তিথি তে মর্ত ধামে আবির্ভূত হন|তারাপীঠ শ্মশানে জ্যোতিরূপে বাস করেন মা তারা|কৌশিকী অমাবস্যায় এই স্থানেই সাধনা করে সিদ্ধি লাভ করেন বশিষ্ঠ দেব এবং বাবা ক্ষেপা|প্রতি বছর কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে তারাপীঠে এই উপলক্ষে বিশাল উত্‍সব হয়|দেশ বিদেশ থেকে তান্ত্রিকরা আসেন এই পবিত্র তিথিতে তন্ত্র ক্রিয়া সম্পন্ন করে নিযেদের কার্য সিদ্ধি করতে|তন্ত্রে কৌশিকী অমাবস্যার অর্থ হল তারা নিশি।তন্ত্র মতে অনেক কঠিন ও গুপ্ত সাধনা এই অমাবস্যায় করলে আশাতীত ফল মেলে|তন্ত্র শাস্ত্র মতে সাধনার মাধ্যমে সাধক কুলকুণ্ডলিনী চক্রকে জয় করে ও সীমাহীন ক্ষমতার অধিকার লাভ করে।বৌদ্ধ ও হিন্দু তন্ত্রে এই দিনের এক বিশেষ মাহাত্ম্য আছে। তন্ত্র মতে এই তিথিতে এক বিশেষ মুহূর্তে স্বর্গ ও নরক দুইয়ের দরজা মুহূর্তের জন্য খোলে ও সাধক নিজের ইচ্ছা মতো ধনাত্মক অথবা ঋণাত্মক শক্তি গ্রহন করেন ও সিদ্ধি লাভ করেন|জ্যোতিষ জগতেও এই তিথির আলাদা গুরুত্ব আছে তন্ত্র মতে বা পূজা ও হোম যজ্ঞর মাধ্যমে গ্রহের অশুভ প্রভাব কাটাতে এই এই কৌশিকী অমাবস্যা সব থেকে কার্যকর সময় হিসেবে গণ্য হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে|মনে করা হয় এই দিন তারাপীঠে পুজো দিলে সকল মনোস্কামনা পুর্ন হয় এবং পুজো দিয়ে দ্বারকা নদীতে স্নান করলে শত জন্মের পুন্যলাভ হয়|শুধু হিন্দু মতে নয়, বৌদ্ধ মতেও তন্ত্র সাধনার জন্য এই দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ|সহজ ব্যাখ্যার কৌশিকী অমাবস্যা অশুভ শক্তির উপর শুভ শক্তির জয়কে উদযাপন করার একটি ধর্মীয় উৎসব যা মহাসমারোহে পালিত হয়ে আসছে দেশের শক্তি উপাসকদের দ্বারা যুগ যুগ ধরে|আগামী পর্বে কৌশিকী অমাবস্যা ও তন্ত্র এবং জ্যোতিষ জগতের আরো অনেক তথ্য ও তার ব্যাখ্যা নিয়ে ফিরে আসবো|পড়তে থাকুন|ধন্যবাদ|