জ্যোতিষ শাস্ত্র ও দশ মহাবিদ্যা

321

সামনেই কৌশিকী অমাবস্যা জ্যোতিষ ও তন্ত্র জগতে যত গুলি অমাবস্যা তিথিতে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয় তার মধ্যে অন্যতম এই কৌশিকী অমাবস্যা|তন্ত্র শাস্ত্র এবং জ্যোতিষ শাস্ত্রর সঙ্গে আধ্যাত্বিকতার যে সম্পর্ক তার রহস্য লুকিয়ে রয়েছে দশ মহাবিদ্যারা মধ্যে|আজকের পর্বে জানাবো দশ মহাবিদ্যার সৃষ্টির কথা ও আগামী পর্ব গুলিতে দশ মহাবিদ্যার রূপ গুলি নিয়ে আলোচনা করবো|শাস্ত্রে, বিশেষ করে কালিকা পুরাণ,দেবী পুরাণ ও মৎস্য পূরানে বর্ণিত আছে, সতীর দেহত্যাগে মহাদেব বিলাপ করতে করতে অচেতন হয়ে পড়েন। তখন নারদ এসে বীণা বাজালে শিবের জ্ঞান ফেরে। শিব বলেন যে, তিনি অচেতন অবস্থায় এত ক্ষণ সতীকে দর্শন করছিলেন। সতী কোথায় তা নারদ জানতে চাইলেন তখন মহাদেব মহাকালের মধ্যে মেষ মীন এই রাশি গুলির মধ্যে দশ মহাবিদ্যার অবস্থান দেখিয়ে দেন|এখান থেকে জ্যোতিষ শাস্ত্র এবং দশ মহাবিদ্যার সম্পর্কে সূত্রপাত বলা যায়|আবার অন্য একটি ব্যাখ্যা অনুসারে পিতা দক্ষর মহা যজ্ঞের খবর পেয়ে দেবী পার্বতী বিনা নিমন্ত্রণে সেখানে যাওয়ার জন্য স্বামীর অনুমতি চান। কিন্তু মহাদেবের অনুমতি না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এরপর তিনি তাঁর ক্ষমতা দেখানোর জন্য স্বমূর্তি ত্যাগ করেন ও শিবের ভয় উৎপাদন করার জন্য দেবী ভগবতী দশদিকে দশমূর্তিতে আবির্ভূত হয়ে মহাদেবের পথ অবরুদ্ধ করেন|এই দশ মূর্তিকে দশমহাবিদ্যা বলা হয়|প্রতিটি গ্রহের ইষ্ঠ দেবী দশ মহাবিদ্যার একটি রূপ জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে কোন দেবী কোন গ্রহের ইষ্ঠ দেবী আসুন দেখে নেই ১ .শনিগ্রহের ইষ্টদেবী কালীকা২. গুরুগ্রহ বা বৃহস্পতির ইষ্টদেবী তারা৩. বুধগ্রহের ইষ্টদেবী ষোড়শী৪. চন্দ্রের ইষ্টদেবী ভুবনেশ্বরী৫. ভৈরবী সময় ও লগ্নের নিয়ন্ত্রণ করে৬. রাহুগ্রহের ইষ্টদেবী প্রচণ্ড চন্ডিকা ছিন্নমস্তা৭. কেতুগ্রহের ইষ্টদেবী ধূমাবতী৮. মঙ্গলগ্রহের ইষ্টদেবী বগলামুখী৯. সূর্যগ্রহের ইষ্টদেবী মাতঙ্গী১০. শুক্রগ্রহের ইষ্টদেবী কমলা বা কমলেকামিনীতন্ত্র মতে গ্রহ দোষ খণ্ডনেরা ক্ষেত্রে এই দশ মহাবিদ্যা রূপ গুলির গুরুত্ব অপরিসীম এবং তিথি নক্ষত্রর বিচারে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ সময় কৌশিকী অমাবস্যা|আগামী পর্ব গুলিতে দশ মহাবিদ্যা ও কৌশিকী অমাবস্যা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা হবে|পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|