বাংলার কালী ক্ষেত্র গুলির মধ্যে রয়েছে অসংখ্য ডাকাত কালী মন্দির, এই মন্দির গুলির সাথে জড়িয়ে আছে বহু গল্প ও দুর্ধর্ষ সব ডাকাতদের নাম, একসময় গ্রাম বাংলায় ডাকাতরা কালী পুজো করে ডাকাতি করতে যেতো কেউ কেউ আবার ডাকাতির পর ফিরে এসে কালী পুজো করতো|সেই দিন আর নেই, সেই ডাকাতরাও নেই সবই আজ ইতিহাস তবে রয়ে গেছে তাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ডাকাত কালীর মন্দির গুলি|এমনই এক কালী মন্দির রয়েছে বর্ধমানের কাটোয়ায় যা কাটোয়ার খেপি মায়ের মন্দির বলে বিখ্যাত|একসময়ে ডাকাতদের হাতে পূজিত কালী আজ কাটোয়ার অন্যতম বিখ্যাত কালী ক্ষেত্র|শোনা যায় আজ থেকে প্রায় ৩০০ বছর আগে কাটোয়া শহরের ভাগীরথীর তীরে খ্যাপাকালী পাড়া জঙ্গলে ভরা ছিল। কথিত আছে, সেই জঙ্গলে বাস করত এক দুর্ধর্ষ ডাকাত। ওই ডাকাত জঙ্গলে কালী ঠাকুরের পুজো করত। ডাকাতি করার সময় কালী মাকে পুজো করে সে ডাকাতি করতে বের হতো। ওই ডাকাতের ভয়ে তটস্থ থাকত বর্ধমান, নদীয়া ও মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষজন।পুলিশের ভয়ে ডাকাত সর্দার কালি ঠাকুরকে জঙ্গলের ভেতরে লুকিয়ে রাখত|আজ সেই জঙ্গলে গড়ে উঠেছে খ্যাপাকালী পাড়া। চারিদিকে জনবসতি। এখন ঝা চকচকে সুবিশাল মন্দিরে ডাকাতের হাতে পূজিত কালীর পুজো হয় মহা ধুমধামে। কালী পুজোর সময় মূর্তিকে প্রায় পাঁচ কেজি সোনা ও নয় কেজি রুপো দিয়ে সাজানো হয়,সোনার মুকুট, থেকে শুরু করে সোনার সিতা হার, সোনার বালা থেকে শুরু করে সোনা-রুপোর নানান গয়নায় ভরে ওঠে মায়ের মূর্তি। ডাকাতদের হাত দিয়ে শুরু সেই পুজো আজ কাটোয়া শহরের খেপি মায়ের পুজো বলেই বিখ্যাত।ক্ষেপী মায়ের পুজোয় আশপাশের জেলা থেকে শুরু করে সারা বাংলার মাতৃ সাধক ও ভক্তরা আসেন তাদের মনোস্কামনা নিয়ে|আবার যথা সময়ে ফিরে আসবো কালীক্ষেত্র নিয়ে থাকবে কালী প্রসঙ্গে নানা আলোচনা|পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|