বাংলার জমিদার বাড়ির দুর্গাপূজা – মহিষাদল রাজবাড়ি

361

কলকাতার বনেদী বাড়ি গুলির পাশাপাশি বাংলার জেলা গুলিতে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য প্রাচীন রাজ পরিবারের দুর্গাপূজা|মহিষাদল রাজবাড়ির পুজো যার মধ্যে অন্যতম|দেবী প্রতিমা এখানে সাজে সজ্জিত। যাঁর আরাধনা হয় সম্পূর্ণ বৈষ্ণব পদ্ধতিতে। রীতি মেনে আজও মহালয়ার পরদিন অর্থাৎ প্রতিপদে কুলদেবতা মদনগোপাল জিউয়ের মন্দির সংলগ্ন পুকুর থেকে ঘট উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয় পুজো।এই রাজ পরিবারের ইতিহাস বেশ প্রাচীন ও ঘটনা বহুল|উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেছিলেন জনার্দন উপাধ্যায়। তিনি রাজা কল্যাণ রায়চৌধুরীর থেকে মহিষাদলের জমিদারি কিনে নেন। অতঃপর ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে রাজা আনন্দলাল উপাধ্যায়ের স্ত্রী জানকীদেবীর হাত ধরে শুরু দুর্গাপুজো|পুজো হয় বৈষ্ণব মতে|তিথি অনুসারে হয় ভোগের পরিমান অর্থাৎ ষষ্টিতে ছয় মন ও সপ্তমীতে সাতমন চালের ভোগ|১০৮টি নীলপদ্ম দিয়ে পুজো করা হত এককালে|দেবীর বিসর্জন হতো ব্যতিক্রমী| দশমীর দিন গার্ড অব অনার দিয়ে দেবীকে নিয়ে যাওয়া হত গেঁওখালির রূপনারায়ণ নদীতে। আজ সেই রাজাও নেই সেই রাজত্বও নেই তবে নিষ্ঠা ও ভক্তি সহকারে প্রথা মেনে অনুষ্ঠিত হয় পুজো|আগামী পর্বে অন্যকোনো রাজবাড়ির কথা নিয়ে ফিরে আসবো|কাল আপনাদের মা হৃদয়েশ্বরী সর্বমঙ্গলা মন্দিরে বিশেষ পুজো, হোম যজ্ঞ ও গ্রহ দোষ খণ্ডন অনুষ্ঠিত হয়েছে |আগামী দিনেও প্রতিটি বিশেষ তিথিতে এই ব্যবস্থা থাকবে|অংশ নিতে যোগাযোগ করতে পারেন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|নমস্কার|