আবার আগের মতোই শুরু হয়েছে চেম্বারে বসা, বহু মানুষ আসছেন ভাগ্যবিচার করাতে, প্রতিকার নিতে পাশাপাশি অনলাইনে ভাগ্যগণনা তো চলছেই|এই এতো কিছুর মাঝে কিছুটা সময় বের করে আবার আপনাদের জন্যে নিয়ে এসেছি মন্দির রহস্যর একটি নতুন পর্ব|আজকের পর্বে কারনি মায়ের মন্দির|
আসলে কার্নি মাতা ছিলেন একজন হিন্দু সন্যাসিনী। তাঁকে সবাই মা দুর্গার একটি রূপ বলেই পুজো করতেন। যোধপুর এবং বিকানেরের রাজ পরিবারের আরাধ্য দেবীও এই কার্নি মাতা|
রাজস্থানের বিকানেরে অবস্থিত কারনি মাতার মন্দির একটি কারনে জগৎ বিখ্যাত যা একাধারে লৌকিক, রহস্য ময় এবং আশ্চর্য জনক|
এই কারনি মাতা মন্দিরে প্রায় কুড়ি হাজার ইঁদুরের বসবাস|মন্দিরের সর্বত্র তাদের অবাধ বিচরন| ভক্তরাও ইঁদুরদেরই রীতিমতো ভোগ দিয়ে পুজো করেন|মন্দিরে ইঁদুরে দের অত্যন্ত পবিত্র মনে করা হয় এবং এই একটি কারনে এই মন্দির পৃথিবীর সব মন্দিরের থেকে আলাদা|কিন্তু কেনো এখানে এতো ইঁদুরের অবস্থান? এনিয়ে দুটি প্রচলিত কিংবদন্তী রয়েছে|
একটি কাহিনী অনুসারে, কোনও এক যুদ্ধের সময়ে কুড়ি হাজার সেনার একটি বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়ে রাজস্থানের এই এলাকায় আশ্রয় নেন|সে সময়ে যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়ে আসার শাস্তি ছিল মৃত্যুদণ্ড। কার্নি মাতা তখন তাদের ইঁদুরে রূপান্তরিত করে প্রান রক্ষা করেন ও মন্দিরে আশ্রয় দেন|সেই থেকে তারা ইঁদুর রূপে এখানেই রয়েছে|
অন্য একটি কাহিনীর অনুসারে কাহিনি অনুযায়ী, কার্নি মাতার এক পুত্রের পুকুরে ডুবে মৃত্যু হয়েছিলো তখন কার্নি মাতা যমরাজের কাছে ছেলের প্রাণভিক্ষা করেন। যমরাজ কার্নি মাতার ওই ছেলে-সহ ওই দেবীর সমস্ত পুত্র সন্তানকে ইঁদুর রূপে পুনর্জন্ম দেন|সেই থেকে বংশ পরম্পরায় তারা ইঁদুরে রূপে ওই মন্দিরে বসবাস করছে|
অনেক ভক্তেরই বিশ্বাস, ইঁদুরের এঁটো করা প্রসাদ খাওয়া মানে পুণ্য অর্জন করা। তাছাড়া এখানে পায়ের উপর দিয়ে ইঁদুরের চলে যাওয়া বা সাদা ইঁদুরের দর্শন পাওয়া বিশেষ সৌভাগ্যের বলে মনে করা হয়|মন্দিরে জীবিত ইঁদুরের পাশাপাশি রুপোর ইঁদুরের প্রতিমূর্তি ও দেখা যায়|সব মিলিয়ে সত্যি রহস্যময় ও ব্যতিক্রমী এই মন্দির|
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি|আবার লিখবো মন্দির রহস্য নিয়ে আগামী পর্বে|যোগাযোগ করুন জ্যোতিষ পরামর্শ ও প্রতিকারের জন্যে, ফোন করুন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|