শিরডির সাইবাবা

739

ভারতের আধ্যাত্মিক জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্রদের নিয়ে একটি ধারাবাহিক লেখনী শুরু করেছিলাম যেখানে ইতিমধ্যে কয়েকজন মহান সাধকদের নিয়ে লিখেছি|আজ দীর্ঘ বিরতির পর পুনরায় একটি নতুন পর্ব নিয়ে আমি আপনাদের সামনে|আজকের পর্বে শিরডির সাইবাবা|

নিঃসন্দেহে ভারতের সবচেয়ে পূজিত সন্তদের একজন মহারাষ্ট্রের শিরডির সাইবাবা। গোটা দেশ জুড়ে তাঁর ভক্তের সংখ্যা কোটি কোটি, তাতে নানা ধর্মের মানুষই আছেন। আর ভারত জুড়ে আছে অজস্র সাইবাবার মন্দির|

সাই শব্দটা পারসি শব্দ এর অর্থ পবিত্র ব্যক্তি। নিজের জীবৎকালে সাইবাবা কখনও তাঁর আসল নাম, জাতি বা ধর্ম প্রকাশ করেননি।তার জন্ম কাল ও জন্মস্থান ও সঠিক ভাবে জানা যায়না|

কেউ কেউ দাবি করেন, সাইবাবার জন্ম তামিলনাড়ুতে একটি ব্রাহ্মণ পরিবারের আবার কেউ দাবী করেন তিনি গুজরাটে জন্মেছিলেন|সাম্প্রতিক কালে তাকে মুসলমান আখ্যা দিয়ে বিতর্কও সৃষ্টি করা হয়েছিলো|

এই সব বিতর্কে জড়িয়ে পড়া আমার উদেশ্য নয় আমার উদেশ্য সাইবাবার সাধনা ও তার জীবনের একাধিক অলৌকিক ঘটনা কে আপনাদের সামনে তুলে ধরা যা তার প্রতিটি ভক্তের কাছে ধ্রুব সত্য বলেই বিবেচিত|

মহারাষ্ট্রের শিরডি ছিলো সাইবাবার সাধন ক্ষেত্র|তার গোটা জীবন কালে একাধিক অলৌকিক ঘটনার উল্লেখ পাওয়াযায় যা লিপিবদ্ধ আছে একাধিক গ্রন্থে|

দ্বারকামণির যে মসজিদ ছিল সাঁই বাবার সাধনক্ষেত্র সেখানে সর্বক্ষণ জ্বলত একটি ধুনি। সেই ধুনিরই ছাই প্রসাদ হিসেবে বাবা কখনও দিতেন ভক্তদের হাতে কখনও বা মাখিয়ে দিতেন তাঁদের কপালে। এটাই ছিলো তার ভক্ত দের প্রসাদ|কিংবদন্তী অনুসারে, সাঁই বাবার প্রদত্ত বিভূতির অনেক অলৌকিক ক্ষমতাও ছিল। অনেক প্লেগ রোগী নাকি এই বিভূতি খেয়ে সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। কেউ আবার এই বিভূতির জোরে মুক্তি পেয়েছেন মানসিক অসুস্থতা থেকে|এই প্রক্রিয়ায় কর্মভার থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে তাঁদের বিশ্বাস। সাঁই বাবার ভক্তদের মধ্যে এখনও নিয়মিত জলে পবিত্র বিভূতি মিশিয়ে সেবনের রীতি প্রচলিত রয়েছে|

সাইবাবা বলতেন সব কা মালিক এক অর্থাৎ সবার পরম পিতা এক ঈশ্বর|তার অলৌকিক স্পর্শে যেমন তেলহীন প্রদীপে জ্বলে উঠতো আলো তেমনই তার আশীর্বাদে অনেক মানুষের জীবনের অনেক বিপদ কেটে যেত অলৌকিক ভাবে|তাই জাতী ধর্ম নির্বিশেষে সাই বাবা কোটি কোটি মানুষের আরাধ্য|

এই মহান সাধককে প্রণাম জানিয়ে শেষ করছি আজকের পর্ব|ফিরবি আগামী পর্বে|আপাতত অনলাইনে ছাড়াও বারাসাতের গৃহ মন্দিরে ও গড়িয়া চেম্বারে আমি নিয়মিত জ্যোতিষ পরামর্শ ও ভাগ্যবিচার করছি যারা যোগাযোগ করছেন তারা নির্দ্বিধায় উল্লেখিত নাম্বারে ফোন করে সরাসরি কথা বলতে পারেন আমার সাথে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|