ভারতের মন্দির ও তার রহস্য নিয়ে লেখা মানে এক বিশাল সমুদ্র থেকে মনিমুক্তা খুঁজে আনার চেষ্টা করা কারন আমাদের দেশ আধ্যাত্মিকতার দেশ|অসংখ্য মন্দির ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দেশ জুড়ে তাদের নিয়ে রয়েছে অসংখ্য রহস্য ও কিংবদন্তী|আজকের পর্বে এমনই আরেকটা রহস্য ময় মন্দির নিয়ে লিখবো|আজকের পর্বে মুণ্ডেশ্বরী মন্দির|
বিহারের কাইমুর জেলার ভভূয়া নামে একটি গ্রামে রয়েছে মুন্ডেশ্বরী দেবীর এক প্রাচীন মন্দির|এই মন্দির একটি বিশেষ কারনে অলৌকিক ও রহস্যময়
আসলে এই মন্দিরে পশু বলিদানের প্রথা রয়েছে। বহু প্রাচীন কাল থেকেই এই মন্দিরে দেবীকে সন্তুষ্ট করার জন্য শ্রদ্ধালু ছাগল বলি উত্সর্গ করেন, তবে এই মন্দিরে উত্সর্গীকৃত পশুর জন্য কোনও অস্ত্রের প্রয়োজন নেই এবং এটি মন্দিরের রক্তের মাটিতে এক ফোঁটাও পড়ে না|এটাই এই মন্দিরের প্রধান রহস্য|
প্রথা অনুসারে ভক্তরা তাদের প্রাণী নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করেন এবং এখানকার পুরোহিতরা দেবদেবীর মূর্তির সামনে প্রাণীগুলি রাখেন এবং তারপরে প্রধান পুরোহিত সেখান থেকে একটি ফুল এবং কিছু ধানের শীষ তুলে পশুর দেহে রাখেন। কয়েক মুহুর্ত পরে, প্রাণীটি খুব অজ্ঞান অবস্থায় চলে যায়।
তারপর পুরোহিত আবার মূর্তির কাছে এসে একটি ফুল এবং কিছু চাল পশুর মৃতদেহের উপরে ফেলে দেয় এবং প্রাণীটি আবার উঠে দাঁড়ায়। অর্থাৎ রক্তপাত ছাড়াই সম্পন্ন হয় বলী প্রক্রিয়া এবং আশ্চর্যজনক ভাবে বলীপ্রদত্ত প্রাণী আবার ফিরে পায় তার প্রান|
বলীর সঠিক অর্থাৎ ও তার প্রয়োজনীতা নিয়ে বিতর্ক বহুদিনের|আজ সেই বিতর্কে যাবোনা শুধু যুগ যুগ ধরে ঘটে চলা এক রহস্যময় ঘটনার উল্লেখ করাই আজ আমার উদ্দেশ্য ছিলো বাকিটা নির্ভর করে বিশ্বাস আর ভক্তির উপর যুক্তি দিয়ে তার বিচার হয়না|
আজ এখানেই থামছি|পড়তে থাকুন লেখা আর দেখতে থাকুন আমার অনুষ্ঠান গুলি|যোগাযোগ করুন জ্যোতিষ পরামর্শর জন্যে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|