রু হচ্ছে উৎসবের দিন, সামনেই দুর্গোৎসব, তার পর দীপাবলি, এ বছর টা একটু আলাদা হলেও ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে মানুষের জীবন|অনেকেই আগের মত জ্যোতিষ পরামর্শ বা ভাগ্য বিচারের জন্য চেম্বারে আসতে চাইছেন|অনেকে আবার অনলাইনেই ভরসা রাখছেন|যাই হোক আমি কিন্তু দুভাবেই আছি সমান ভাবে|আর কিছু দিনের মধ্যেই আরো কয়েকটা নতুন ধরনের ভিন্ন স্বাদের অনুষ্ঠান নিয়ে হাজির হবো আপনাদের সামনে|তবে এখন লিখতে চলেছি ভারতের এক মহান সন্যাসীকে নিয়ে|তিনি রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের পঞ্চদশ অধ্যক্ষ স্বামী আত্মস্থানন্দ|
স্বামী আত্মস্থানন্দর বাবা মার দেওয়া নাম ছিল সত্যকৃষ্ণ ভট্টাচার্য তার জন্ম হয় ১৯১৯ সালে ওপার বাংলায়| জন্ম স্থান ছিলো বাংলাদেশের ঢাকা শহরের কাছে সবজপুর|স্বামী আত্মস্থানন্দ শৈশব থেকেই ছিলেন মেধাবী ও আধ্যাত্মিকতার আলোকে আলোকিত| কলেজজীবনে তিনি যুক্ত হন দিনাজপুর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সঙ্গে। ১৯৩৮ সালে স্বয়ং শ্রীরামকৃষ্ণের সন্ন্যাসী শিষ্য বিজ্ঞানানন্দের কাছে দীক্ষা নেন আত্মস্থানন্দ। ১৯৪১ সালের ৩ জানুয়ারি ২২ বছর বয়সে বেলুড় মঠে যোগ দেন।১৯৪৫ সালে ব্রহ্মচর্য গ্রহণ। ১৯৪৯ সালে সন্ন্যাস গ্রহণ। স্বামী বিজ্ঞনানন্দজীর কাছে মন্ত্র দীক্ষা নিয়ে সত্যকৃষ্ণই হয়ে গেলেন স্বামী আত্মস্থানন্দ|দীর্ঘ দিন একাধিক গুরুদায়িত্ব সামলেছেন, ছিলেন গুজরাটের রাজকোট শাখার প্রেসিডেন্ট|২০০৭ সালের ৩ ডিসেম্বর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ১৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করেন|
দীর্ঘ সন্যাস জীবনে বহুমানুষের আশ্রয়স্থল ছিলেন তিনি। সুখ,দুঃখে তিনিই ছিলেন শান্তির আশ্রয়|
যারাই এঁসেছেন তারাই তার পরম স্নেহের স্পর্শ পেয়েছেন। স্পর্শ পেয়েছেন বিশাল হূদয়ের। যে হৃদয় দিয়ে লক্ষ মানুষের মন ছুঁয়ে যেতেন এই সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী| স্বামীজীর আদর্শ অনুসারে লক্ষ্যে অবিচল থেকে এগিয়ে চলেছেন সারাটা জীবন|কঠোর পরিশ্রম করেছেন|নিজের গোটা জীবন দিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছেন| রামকৃষ্ণ ভাবাদর্শর প্রচারে নিবেদন করেছেন নিজের জীবন|
ভারতের বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজির আধ্যাত্মিক গুরু তিনি|রাজ কোটে থাকা কালীন যুবক নরেন্দ্র তার সংস্পর্শে আসেন এবং সন্ন্যাস নিতে চান|সেদিন সেই যুবককে সন্যাস না দিয়ে দেশের কাজ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন স্বামী আত্মস্থানন্দ|বাকিটা ইতিহাস|
১৮ জুন ২০১৭ ৯৮ বছর বয়সে
কলকাতায় মহা সমাধি লাভ করেন এই মহান সন্ন্যাসী|সমাপ্ত হয় এক গৌরব ময় অধ্যায়|প্রনাম জানাই এই মহান সাধককে|আজ আপাতত এখানেই থামছি|ফিরবো পরের পর্বে|সঙ্গে থাকুন|প্রয়োজন বোধ করলে যোগাযোগ করুন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|