শক্তিপীঠ প্রয়াগ

734

আজ বেশ কিছুদিন পর কলম ধরলাম একটি শক্তি পীঠ পর্ব আপনাদের সামনে আনবো বলে, তবে বাংলায় অবস্থিত শক্তি পীঠ গুলির কথা সবই আগের পর্ব গুলিতে লিখে ফেলেছি, যারা এখনো পড়েননি তারা আমার ওয়েবসাইটে গিয়ে পড়তে পারেন|আজ লিখবো বাংলার বাইরে অবস্থিত দেশের একটি অন্যতম শক্তি পীঠ নিয়ে|আজকের পর্বে প্রয়াগে অবস্থিত শক্তি পীঠ অর্থাৎ মাতা ললিতা বা আলপী|

সঙ্গম এমনিতেই সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী মানুষদের কাছে ওতি পবিত্র স্থান যা উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদে অবস্থিত|পীঠ নির্নয় তন্ত্র সহ একাধিক শাস্ত্রে উল্লেখ আছে যে সঙ্গমের কাছে দেবীর হাতের আঙ্গুল পতিত হয়|এই পবিত্র স্থানেই সৃষ্টি হয়েছে এক শক্তি পীঠ| দেবী এখানে ললিতা নামে পূজিতা এবং দেবীর ভৈরবের নাম ভব। এই স্থানকে এমনিতেও তীর্থরাজ বলা হয় কারন এখানে তিনটি প্রধান নদী গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতী মিলিত হয়।মন্দিরের স্থাপত্য ওতি সুন্দর তবে এই মন্দিরের এক বিশেষত্ব আছে। এখানে কোন মূর্তি নেই|একটা কাঠের দোলনা আছে। তার ওপরেই দেবীকে কল্পনা করে নেওয়া হয়। এখানে দেবীকে ‘ আলোপী মাতা ’ও বলা হয় কারন দেবী এখানে অদৃশ্য|শঙ্করাচার্য্যর অষ্টাদশ পীঠ স্তোত্র তেও এই শক্তি পীঠের উল্লেখ আছে|

পুর্ন লাভের আশায় প্রয়াগে আসা অসংখ্য দর্শনার্থী এই শক্তি পীঠ দর্শন করেন|প্রায় সারা বছরই এখানে ভক্ত দের আনাগোনা লেগে থাকে|নবরাত্রি ও শিব রাত্রি উপলক্ষে এখানে বিশেষ পূজা হয় এবং বহু ভক্তের সমাগম হয়|

এলাহাবাদ স্টেশন ও এয়ারপোর্ট থেকে অল্প দূরেই অবস্থিত এই শক্তি পীঠ যা প্রতিদিন সকাল সাড়ে সাতটা থেকে সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা অবধি দর্শনার্থী দের জন্য খোলা থাকে|চাইলে সময় সুযোগ বুঝে একবার ঘুরে আসতে পারেন|এক অদ্ভুত আধ্যাত্মিক প্রশান্তি অনুভব করবেন নিজের অন্তরে|

আজ এই শক্তি পীঠ পর্বের লেখা এখানেই শেষ করছি আগামী পর্বে অন্যকোনো শক্তি পীঠের কথা নিয়ে ফিরে আসবো|সঙ্গে থাকুন, জ্যোতিষ পরামর্শ ও প্রতিকারের জন্য ফোন করুন উল্লেখিত নাম্বারে|সরাসরি কথা হবে আমার সাথে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|