পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন

172

পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

যতই ইংরেজি নিউ ইয়ার নিয়ে মাতামাতি হোক বাংলির সাথে বাংলা নববর্ষর রয়েছে এক আবেগের সম্পর্ক আত্মার সম্পর্ক।

 

ব্যবসা বাণিজ্যর ক্ষেত্রে পয়লা বৈশাখের ভূমিকা রয়েছে|এক সময় এই দিনের প্রধান ঘটনা ছিল একটি হালখাতা তৈরি করা। হালখাতা বলতে একটি নতুন হিসাব বই বোঝানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হল বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাঠের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। গ্রাম, শহর বা বাণিজ্যিক এলাকা, সকল স্থানেই পুরনো বছরের হিসাব বই বন্ধ করে নতুন হিসাব বই খোলা হয়। হালখাতার দিনে দোকনদাররা তাদের ক্রেতাদের মিষ্টান্ন আপ্যায়ন করে থাকে। এই প্রথাটি এখনও অনেকাংশে প্রচলিত আছে। বিশেষ করে বড় বাজার, নিউ মার্কেট বা বই পাড়ায় এই ঐতিহ্য আজও টিকে আছে।

 

যদিও আরো একটু পিছিয়ে যাই দেখা যাবে জমিদারির যুগে পয়লা বৈশাখ মানে ছিলো খাজনা আদায়ের শুরু, নতুন ফসল বেচে কৃষকদের হাতে অর্থ আসতো এবং তারা উৎসবে মেতে উঠতেন

আবার ভূমির মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদেরকে মিষ্টান্ন দ্বারা আপ্যায়ন করতেন। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করা হত। এই উৎসবটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয় যার রুপ পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে এই পর্যায়ে এসেছে|

 

সনাতন ধর্মে বৈশাখ মাসকে মাধব মাস বা

মধুসূদন মাস বলা হয় যার অর্থ ভগবান কৃষ্ণের মাস। এই মাসে ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।বৈশাখ মাসে গঙ্গায় অর্ঘ্য দান করলেন এবং গঙ্গা স্নান করলে নানাবিধ সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ হয়।জ্যোতিষ শাস্ত্রের দৃষ্টি ভঙ্গি থেকে “বৈশাখ” শব্দটি এসেছে বিশাখা নামক নক্ষত্রের নাম থেকে। এই মাসে বিশাখা নক্ষত্রটিকে সূর্যের খুব কাছে দেখা যায়।আগেই বলেছি  এই মাস কৃষ্ণের প্রিয় মাস।বৈশাখ মাসে গীতা পাঠ বা শ্রবণ করা উচিত।তাতে আধ্যাত্মিক উন্নতি হয় ও ভগবানের বিশেষ আশীর্বাদ লাভ হয়।

 

সবাইকে জানাই শুভ নববর্ষ। সঙ্গে থাকুন।ফিরে আসবো পরের পর্বে। থাকবে একটি বিশেষ আধ্যাত্মিক বিষয় নিয়ে লেখা। পড়তে থাকুন ভালো থাকুন।ধন্যবাদ।