একান্নপীঠ – অবন্তীকা

143
ভরতচন্দ্র তার অন্নদা মঙ্গলে লিখেছেন –
” লম্বকর্ণ ভৈরব অবন্তী দেবী তায় “
এই অবন্তী শক্তি পীঠ শিপ্রা নদীর তীরে ভৈরব পাহাড়ে অবস্থিত। মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে অবস্থিত রয়েছে ভৈরব পর্বত যা প্রায় পৌরাণিক সময়ের ।এক কালে এই তীর্থ হরসিদ্ধি নামেও পরিচিত ছিলো।বন, শ্মশান, নদী সবই ঘিরে আছে এই শক্তি পীঠকে তাই অনেকে শাস্ত্রজ্ঞ মনে করেন এটি একটি আদর্শ তীর্থ ক্ষেত্র।
দেবী ভগবৎ পুরান মতে এই শক্তিপীঠে সতীর উপরের ঠোঁট পড়ে যদিও শ্রী অঙ্গ খুঁজে পাওয়া যায়নি আবার অনেকে বলেন দেবীর শ্রী অঙ্গ থেকেই ভৈরব পর্বতের জন্ম হয়েছে।এখানে
দেবী হলেন অবন্তি এবং ভৈরব হলেন লম্বকর্ণ।
পুরান অনুসারে ত্রিপুরাসুরকে বধ করার আগে মহাদেব দেবী অবন্তীর পুজো করেছিলেন এবং দেবী তাকে খুশি হয়ে পশুপত অস্ত্র দিয়ে ছিলেন সেই অস্ত্র দিয়েই মহাদেব অত্যাচারী ত্রিপুরাসুরকে বধ করে দেবতা এবং সৃষ্টি রক্ষা করেছিলেন।
ভৈরব পর্বতে রয়েছে রঙিন পাথর দিয়ে তৈরী এক প্রাচীন মন্দির যার নির্মাণের সঠিক সাল তারিখ পাওয়া যায়না।মন্দিরের ছাদে এবং দেওয়ালে খুব সুন্দর পাথরের কাজ করা আছে।যা দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়।
দেবী দশভুজা অবন্তী বা মহাকালী সিংহ বাহিনী, দেবী দশভূজা তার দশটি হাতে দশ রকমের অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সাজানো হয়ে থাকে।দেবীর মাথায় রয়েছে মুকুট এবং গায়ে রয়েছে অনেক অনেক অলংকার বিশেষ তিথিতে ফুলের মালা এবং লাল রঙের শাড়িতে দেবীকে সাজানো হয়।
প্রত্যেক বারো বছর অন্তর শিপ্রা নদীর তীরে এই স্থানে কুম্ভ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।সেই উপলক্ষ্যে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী আসেন।
আজকের শক্তি পীঠ নিয়ে আলোচনা এখানেই শেষ করছি ফিরে আসবো আগামী পর্বে অন্য
এক শক্তিপীঠ নিয়ে। পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।