বেল পাতা শিবের খুব প্রিয়। শাস্ত্র মতে বেল পাতা ছাড়া শিবের পুজো সম্পন্ন হয় না। তাই শিব পুজোয় বেলপাতার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে, পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে। সব বলবো। তারসাথে জানাবো বেলপাতা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ।পুরান অনুসারে সখি জয়া ও বিজয়া সহ এক পর্বতে ভ্রমন করার সময়ে পার্বতীর কপালের ঘাম মাটিতে পরে তৈরী হয় বেলগাছের। দেবী স্বয়ং গিরিজা রূপে শিকড়ে।কাত্যায়নী রূপে ফলে এবং দুর্গা রূপে বেল গাছে বিরাজ করেন।আবার সমুদ্র মন্থনে প্রাপ্ত হলাহল পান করার পর মহাদেবেকে বিশেষর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে দেবতারা প্রথম তাকে বেলপাতা অর্পণ করেন কারন বেলপাতা বিষের প্রভাব নষ্ট করে। অন্য একটি ব্যাখ্যা অনুসারে শিবলিঙ্গ পরম তেজোময় তাই তাকে জ্যোতির্লিঙ্গ বলা হয় শিবলিঙ্গ অফুরন্ত তেজ ধারণ করে নিজের মধ্যে। তাই শিবলিঙ্গের পুজোর সময়স্নান করিয়ে শীতল করা হয় । বেলপাতার ভেষজ গুন মহাদেবকে শান্ত আর শীতল রাখে।তিন পাতা বিশিষ্ট বেলপাতা শ্রেষ্ঠ।আমাদের শাস্ত্রে তিনের খুব গুরুত্ব। আমাদের গুণ তিনটি- স্বত্বঃ, রজঃ আর তমঃ। আমাদের পরম দেবতাও তিনজন- ব্রহ্মা, বিষ্ণু আর মহেশ্বর। আমাদের তিনটে লোক- স্বর্গ, মর্ত্য আর পাতাল।মনে করা হয় তিনটি পাতা সৃষ্টি কর্তা, পালন কর্তা এবং সংহার কর্তা কে বোঝায়।শিব লিঙ্গে বেলপাতা অর্পণ করার কিছু বিধি নিষেধ আছে। চতুর্থী, অষ্টমী, নবমী, চতুর্দশী, অমাবস্যা, সংক্রান্তি ও সোমবার বেলপাতা তুলতে নেই।শুধু বেলপাতা অর্পণ করবেন না বেলপাতার সঙ্গে জলধারাও অর্পণ করবেন।পাতা বিশিষ্ট বেলপাতা অর্পণ করা উচিত১ বা দুই পাতা বিশিষ্ট খুঁত যুক্ত পাতা কখনও অর্পণ করবেননা।বেলপাতার মধ্যবর্তী পাতাটি ধরে অর্পণ করতে হয়।যাদের বিবাহে বাঁধা আসছে তারা ১০৮ টি বেলপাতা নিয়ে তাতে লাল চন্দন দিয়ে ত্রিপুন্ড বানান তার পর ওম নমঃ শিবায় বলে একটি একটি করে বেলপাতা শিবলিঙ্গে অর্পণ করতে থাকুন এই ভাবে ১০৮ টি পাতা নিবেদন করুন। বিবাহের বাঁধা দূর হবে।আগামী পর্বে আবার কোনো নতুন বিষয় নিয়ে আসবো আপনাদে সামনে।থাকবে এমনই গুরুত্বপূর্ণ শাস্ত্রীয় বিধি নিষেধ। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।