মা হৃদয়েশ্বরী সর্বমঙ্গলার মন্দিরের প্রতিষ্ঠা দিবস এবং বাৎসরিক উৎসব

466

আজ আমার জীবনের এবং মা হৃদয়েশ্বরী সর্বমঙ্গলা মায়ের প্রতিটি ভক্তের জন্য একটি বিশেষ দিন।তিথি অনুযায়ী আজ আমাদের আরাধ্যা দেবী মা হৃদয়েশ্বরী সর্বমঙ্গলা মন্দিরের প্রতিষ্ঠা দিবস এবং বাৎসরিক উৎসব।ব্যাক্তিগত ভাবে আমি নিজে দীর্ঘ তিন দশকের বেশি সময় ধরে মা সর্ব মঙ্গলার সেবক এবং উপাসক হিসেবে মা সর্বমঙ্গলা আরাধনায় নিয়োজিত রয়েছি|তবে অনুষ্ঠানিক ভাবে বেশ কয়েক বছর আগে এক ফল হারিনী অমাবস্যার পুন্য তিথিতে আপনাদের হৃদয়েশ্বরী সর্ব মঙ্গলা মন্দিরের দ্বার উন্মুক্ত হয়েছিলো সর্ব সাধারণের জন্যে আমার হৃদয়পুর স্থিত বাস ভবনে। পরবর্তীতে মন্দির স্থানীনান্তরিত হয়। এবং নব রূপে সংস্কার ও শাস্ত্র মতে পুনয়ার পূজোআরম্ভ হয়।আজ দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দিরে প্রতিষ্ঠা দিবস পালন এবং বাৎসরিক পুজোর আয়োজন করা হয়েছে।দেবী সর্বমঙ্গলা শক্তিস্বরূপা,তার পুজোয় ভক্তের সার্বিক উন্নতি হয়, মঙ্গল হয় তাই তিনি সর্ব মঙ্গলা, আর আমার ইষ্ট দেবী হৃদয়েশ্বরী মা সর্ব মঙ্গলা অত্যান্ত জাগ্রত ও ভক্তের মনোস্কামনা পুরুন করতে তার কোনো জুড়ি নেই। বিগত বছর গুলিতে তার চরনে রাখা প্রত্যেকের মনোস্কামনা তিনি পূর্ণ করেন প্রতিটি বিশেষ তিথিতে তার দরবারে অনুষ্টিত হোম যজ্ঞ ও দোষ খণ্ডন সব দিক দিয়ে সার্থক ও সফল হয়েছে|যেমন টা আপনারা ছবিতে বা ভিডিওতে দেখেছেন দেবী সর্বমঙ্গলা অষ্টাদশভূজা সিংহবাহিনী ‘মহিষমর্দিনী’ মহালক্ষীরূপিণী|কষ্টি পাথরে নির্মিত হওয়ায় দেবী মূর্তি স্বাভাবিক ভাবেই ঘোর কৃষ্ণবর্ণের |তাছাড়া তিনি আদ্যা শক্তি মহামায়ার রূপ বিশেষ তাই করল বদনা হওয়াটাই স্বাভাবিক|আমার গৃহমন্দিরে স্থাপিত হৃদয়েশ্বরী সর্বমঙ্গলার রূপ সৃষ্টির খেত্রে তার আদি ও প্রাচীনতম প্রচলিত রূপকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে| তিনি দূর্গা ও কালীর সম্মিলিত রূপ|প্রতিটি অমাবস্যায় হৃদয়েশ্বরী সর্বমঙ্গলার মন্দিরে পুজো হয় তন্ত্র মতে, শাস্ত্রীয় উপাচার অনুসরণ করে, হোম যজ্ঞ, চন্ডী পাঠ সবাই হয়, এই দিন ভোগ রান্না থেকে শুরু করে প্রসাদ বিতরণ হয় নিষ্ঠার সাথে তবে বলি প্রথার কোনো স্থান নেই মন্দিরে|আপনারা হয়তো জানেন জ্যোতিষ সংক্রান্ত সমস্যার প্রতিকার যেমন রত্ন বা কবজ ধারনের মাধ্যমে হয় তেমনি সঠিক পদ্ধতিতে মন্ত্র উচ্চারণ পূজা পাঠ ও হোম যজ্ঞের মাধ্যমে গ্রহদোষ খণ্ডনের মাধ্যমেও হয়|সেক্ষেত্রে হৃদয়েস্বরী সর্ব মঙ্গলা মায়ের মন্দিরে আমি নিজে উপস্থিত থেকে প্রতি অমাবস্যায় শাস্ত্র মতে এই আধ্যাত্মিক কর্মকান্ড সম্পন্ন করি।আজ অবধি অসংখ্য মানুষ উপকৃত হয়েছেন এই সর্ব মঙ্গলা মায়ের মন্দিরে গ্রহ দোষ খণ্ডন করিয়ে। অনেকের জীবনের অনেক বাঁধা বিপত্তি দূর হয়ে জীবনে সাফল্য, সুখ ও সমৃদ্ধি এসেছে, অনেকেই এর কৃতিত্ব আমাকে দেন , তবে আমি বলি আমি নিমিত্ত মাত্র, এই মন্দিরের সাথে যুক্ত হওয়া ও এই আধ্যাত্মিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা সবটাই মা হৃদয়েশ্বরীরে ইচ্ছে, আপনারা আসুন , যুক্ত হন, নিজের যেকোনো সমস্যা মাকে জানান, অসংখ্য মানুষ উপকৃত হয়েছেন, মায়ের কৃপা লাভ করেছেন, আপনারাও পারবেন মনে ইচ্ছা ও ভক্তি থাকলেই হবে|বিশেষ বিশেষ তিথিতে মন্দিরে পূজা পক্রিয়া এবং সব তথ্য সর্বমঙ্গলা মন্দিরে ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া পেজে পাবেন।এবার ও তার ব্যাতিক্রম হবেনা। অনলাইনে এবং অফলাইন আপনার আপনারা হৃদয়েশ্বরী সর্বমঙ্গলা মায়ের মন্দিরে সাথে যুক্ত হতে পারেন।সবাইকে জা নাই স্বাগত।জয় মা হৃদয়েশ্বরী সর্বমঙ্গলার জয়|পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন।ধন্যবাদ।