মন্দির রহস্য – উল্টো হনুমান মন্দিরের রহস্য

209

সারা দেশে অসংখ্য হনুমান মন্দির আছে যারা মধ্যে একাধিক রহস্যময় মন্দির নিয়ে আগেই আপনাদের জন্য লিখেছি তবে অদ্ভুত মন্দির রয়েছে মধ্য প্রদেশে। যেখানে পবন পুত্র হনুমানের উল্টানো মূর্তি দেখতে পাওয়া যায়। কথায় আছে উল্টানো অবস্থায় থাকা হনুমাণজী কখনও তাঁর ভক্তদেরত খালি হাতে ফেরান না। আর সেই কারনে এই মন্দিরে হনুমানজির উল্টো মূর্তি দর্শন করতে ভক্তরা ছুটে আসেন।চমৎকারী উল্টে হনুমানজীর প্রতিমাটি রয়েছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে সানওয়ার গ্রাম|কিন্তু কেন এই মন্দিরে হনুমানজীর উল্টানো রয়েছে তা নিয়ে নানা জনশ্রুতি রয়েছে।শোনা যায় রাম এবং রাবনের যুদ্ধের সময় রাবন তাঁর রূপ বদলে ফেলে ভগবান রামের সেনাবাহিনীতে ঢুকে পড়েন সবার নজর এড়িয়ে অহিরাবনের রূপ ধরে এই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন তিনি। রাতে যখন রাম-লক্ষন শুয়ে ছিল সেই সময়ে একেবারে ঘাড়ধরে তাঁদের দুজনকে পাতাল লোকে নিয়ে যায় ছদ্দবেশি রাবণ।আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা বানর সেনা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। ভগবান রাম এবং তাঁর ভাই লক্ষ্মণকে উদ্ধার করতে পাতাল লোকে পৌঁছে যান হনুমানজি।অহিরাবনকে বধ করে হনুমান সেখানে ছদ্মবেশে থাকা অহিরাবনকে বধ করে হনুমান। আর রাম-লক্ষ্মণকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। কথায় আছে যেখানে এই মন্দির রয়েছে সেখান থেকেই নাকি হনুমানজি পাতাল লোকে প্রবেশ করেছিল। আর পাতাললোকে প্রবেশ করার সময়ে হনুমাণজির মাথা নীচের থেকে ছিল। আর সেই কারনে এই মন্দিরে হনুমানজির এমন উল্টানো মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে।প্রত্যেক মঙ্গলবার উল্টো হনুমানজীর মন্দিরে গিয়ে হনুমানজীর দর্শন করলে জীবনের সমস্ত দুঃখ-কষ্ট নাকি জীবন থেকে চলে যায়।শুধু তাই নয়, হনূমানজী সর্বদা তাঁর ভক্তদের সমস্ত মনোকামনা পূর্ণ করেন|বলা হয় উলটা হনুমানজীর প্রতিমাতে যদি মন থেকে ছোলা দেওয়া হলে নাকি সম্পূর্ণ মনস্কামনা পূর্ণ হয়ে যায়|যথা সময়ে আবার ফিরবো আগামী পর্বে|আলোচনা করবো অন্য কোনো রহস্যময় মন্দির ও তার সাথে জড়িত নানা কিংবদন্তী নিয়ে |পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন |ধন্যবাদ|