মন্দির রহস্য – বাড়তে থাকা নন্দী মূর্তির রহস্য

198

আজ মন্দির রহস্যতে আপনাদের এমন এক অলৌকিক পাথরের নন্দী মূর্তির কথা লিখবো যেটি প্রতিদিনই একটু একটু করে বড় হচ্ছে।অন্ধ্রপ্রদেশের যগন্তী উমা মহেশ্বরা মন্দিরে রয়েছে এই অদ্ভুত নন্দী মূর্তি যা নাকি প্রত্যেক বছর একটু একটু করে আয়তনে বেড়ে ওঠে!স্থানীয়দের মতে, বছর পঞ্চাশ আগে নন্দীর যে আয়তন ছিল, বর্তমানে তার চেয়ে অনেকটাই বড়। তাদের বিশ্বাস, কোনো এক দৈবিক ক্ষমতাতেই বাড়তে থাকে নন্দী। আর সেই কারনেই একে জাগ্রত বলে পূজা করে থাকেন দর্শনার্থীরা।বিশেষ এই নন্দী মূর্তির জন্যই অন্ধপ্রদেশের অন্তর্গত কুর্নুল জেলায় অবস্থিত শিবের এই মন্দিরটির মাহাত্ম মুখে মুখেই চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। হাজার হাজার মানুষ এখানে ভিড় জমান প্রাচীন এই মন্দিরের সৌন্দর্য এবং সেই ঐশ্বরিক ক্ষমতা সম্পন্ন নন্দীর দর্শন করতে।ভারতের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার গবেষকেরা নন্দীর মূর্তিটি পরীক্ষা করেছিল। এটা প্রমাণ করতে যে বিশ্বাসের সঙ্গে বাস্তবের সত্যিই কোনো সামঞ্জস্য রয়েছে কি না! গবেষণার পর তারা জানায় যে বিশেষ যে পাথরটি খোদাই করে নন্দীর মূর্তিটি তৈরি হয়েছে, সেই পাথর বিশেষ পরিস্থিতিতে আকার ও আয়তনে বাড়ে। গবেষণা করে দেখা গেছে, গত বিশ বছরে মূর্তিটি সত্যিই আকারে এক ইঞ্চি বৃদ্ধি পেয়েছে।নন্দী বেড়ে ওঠে বলে মূর্তিটির সঙ্গে লাগোয়া একটি পাথরের স্তম্ভ ভেঙে ফেলা হয়েছে। ফলে দর্শনার্থীদের পূজা দেয়ার সময় নন্দীর চারিদিকে প্রদক্ষীণ করতেও সুবিধা হয়। স্থানীয় ঋষির মুনি দের মতে এই কলি যুগেই নাকি মূর্তিটি জীবন্ত হয়ে উঠবে।বিখ্যাত এই মন্দিরের আরো একটি অবাক করা বিষয় হলো এ চত্বরে কোনো কাক দেখা যায় না। কথিত আছে, ঋষি অগস্ত একবার প্রায়শ্চিত্ত করছিলেন। সেই সময় কাকের দল তাকে বিরক্ত করেছিল। তখন ঋষি অভিশাপ দিয়েছিলেন, মন্দির চত্বরে আর কখনো কাকেরা প্রবেশ করতে পারবে না।সেই থেকে এই মন্দিরে কাকের প্রবেশ নিষেধ|মন্দিরের ভেতরে পুকুরে সারা বছরই জল থাকে। মনে করা হয়, নন্দীর মুখ থেকেই নাকি এই জল নির্গত হয় এবং সারাবছর ধারাবাহিকভাবে তা বয়ে চলেছে। এই মন্দিরের এক প্রান্তেই রয়েছে অগস্ত গুহা। স্থানীয়দের মতে, এখানেই নাকি শিবের আরাধনায় ধ্যানমগ্ন ছিলেন অগস্ত ঋষি।তবে নন্দীর বেড়ে ওঠাই সবচেয়ে বেশি অবাক করে দর্শনার্থীদের কাছে|সারাবিশ্বের বিভিন্ন দেশের আনাচে-কানাচে অনেক মন্দির রয়েছে। এর মধ্যে ভারতবর্ষেই মন্দিরের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। যেখানে আজো এমন অলৌকিক ঘটনা ঘটে থাকে| যা ব্যাখ্যা করা কঠিন হয়ে পড়ে|ফিরে আসবো পরের পর্বে অন্য কোনো মন্দির রহস্য নিয়ে|পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন|ধ্যনবাদ|