তেইশে জানুয়ারি – নেতাজী ও হিটলার

1191

নেতাজীকে নিয়ে বাঙালির গর্বের শেষ নেই, বিশেষ করে আজকের এই তারিখে, আজ নেতাজীর জন্মদিন|আজকের দিনে অনেকটা গঙ্গা জলে গঙ্গা পুজো করার মতো তার জীবনের একটি ঘটনা স্মরণ করে তাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাবো|স্বাধীনতার যুদ্ধ চলা কালীন একটি বিশেষ পর্যায়,ব্রিটিশ উপনিবেশ গুলোতেও স্বাধীনতার দাবি জোরালো হচ্ছিল। বুদ্ধিমান নেতাজী বুঝেছিলেন এটাই সুযোগ ব্রিটিশকে কোণঠাসা করার এবং শুধু ঘর থেকে নয়, ঘরের বাইরে থেকেও আক্রমণ শানানো উচিত। আর তার জন্য যদি জার্মানির সামান্য সাহায্যও পাওয়া যায়, তাহলে সোনায় সোহাগা|নেতাজী ঠিক করেছিলেন দেখা করতেই হবে জার্মান রাষ্ট্র নায়ক হিটলারের সাথে|যেমন ভাবা তেমন কাজ, রাতের অন্ধকারে ব্রিটিশদের সামনে দিয়ে পালিয়ে আসা, আফগানিস্তান থেকে রাশিয়া এবং সেখান থেকে জার্মানি। শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু’— এই প্রবাদ বহু আগে থেকেই আমরা শুনে এসেছি। নেতাজি সেটাকে বাস্তবে প্রয়োগ করলেন|অবশেষে বহু চেষ্টার পর এলো সেই সুবর্ণ সুযোগ, বার্লিনে বার্লিনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলা কালীন দেখা হলো দুই বিতর্কিত রাষ্ট্র নায়কের, বহু কথাই শোনা যায় এই ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ ঘিরে|কথিত আছে হিটলার সামনে এলেও নেতাজী সুভাষ জায়গা ছেড়ে উঠলেন না। কেন? সটান জবাব, ইনি হিটলার নন ! বহুরূপী। আরও একজন এলেন, এবং এবারও একই ঘটনা। সুভাষ উঠলেন না। তারপর হঠাৎই একটা হাত সুভাষের কাঁধে নেমে এল। এবার উঠে দাঁড়ালেন তিনি, বাড়িয়ে দিলেন হাত। হ্যাঁ, তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে আছেন আসল অ্যাডলফ হিটলার।হিটলারের এরকম বেশ অনেক বহুরূপী রয়েছে, সেটা নেতাজী জানতেন এবং এও জানতেন যে তাঁর পিঠে হাত রাখার মতো সাহস একমাত্র আসল হিটলারের আছে, আর কারোর নেই। ঐতিহাসিক এই সাক্ষাৎ ঘিরে কিঞ্চিৎ বিতর্ক থাকতেই পারে কিন্তু নেতাজীর দেশপ্রেম প্রশ্নতীত ও সব বিতর্কের উর্ধে|সারাজীবন সুভাষের মাথায় একটাই চিন্তা ছিলো স্বাধীনতা। ভারতের স্বাধীনতা যার জন্য তিনি নিজের জীবন বিপন্ন করে লড়ে গেছেন |আজ স্বাধীন ভারতের জনগণের কাছে তাই তিনিই শ্রেষ্ট বীর, দেশের অন্যতম শ্রেষ্ট সন্তান|জন্মদিনে নেতাজীকে জানাই আমার প্রণাম ও শ্রদ্ধাঞ্জলি|জয় হিন্দ|