আজ কালী কথার এই পর্বে লিখবো কালী পুজোর বিশেষ করে তন্ত্র মতে পুজোর একটি অঙ্গ বলি নিয়ে, অনেকেই মনে করেন কালী পুজোর সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে, বলী প্রথা,এই চিন্তা ধারা ঠিক কি ভুল এই বিতর্কও বহু দিনের|সত্য যুগে বৈদিক আচার সম্পন্ন শুদ্ধ ব্রাহ্মনগণ যজ্ঞে বৃদ্ধ পশু আহুতি দিয়ে তত্ক্ষণাত্ মন্ত্রযোগে পশুর উন্নত নবজীবন দান করবার যথেষ্ঠ ক্ষমতা তাদের ছিল ।কিন্তু কলিযুগে বৈদিক আচারভ্রষ্ট ব্রাহ্মনদের সে ক্ষমতাই নেই । ভগবান শ্রীবিষ্ণুর অবতার বুদ্ধদেব জগতে পশুবলি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন একটি সময়ে|শ্রীমদ্ভাগবত পঞ্চম, ষষ্ঠ ও একত্রিশ শ্লোকে বলা হয়েছে -“যারা পশুবলি দিয়ে ভৈরব বা ভদ্রাকালী প্রভৃতি দেবদেবীর পূজা করে , হিংসা কবলিত সেই পশু যমালয়ে রাক্ষস হয়ে ঘাতকের মতো সুতীক্ষ্ন অস্ত্র দিয়ে তাদের বধ করে|বৈষ্ণব ঘরানায় পশু বলী বা রক্ত পাতের কোনো স্থান নেই কিন্তু তন্ত্রে আছে|আর কালী পুজো হয় তন্ত্র মতে|বেলুড় মঠে দূর্গা পূজার সূচনা কালে স্বামী বিবেকানন্দ চেয়ে ছিলেন পশু বলী দিতে কিন্তু মা সারদা বুঝিয়ে তাকে এই কাজ থেকে বিরত করেন অনেকেই মনে করেন আসলে বলী বা স্যাক্রিফাইস এর অর্থ হলো নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সড় রিপুর উপর জয় পাওয়া|বলীর সপক্ষে যারা তারা বলেন তন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাচার বলী এবং বলী প্রদত্ত পশু তার জীবন থেকে মুক্তি পেয়ে মোক্ষ লাভ করে যা তার কাছে আশীর্বাদ স্বরূপ এতে দুক্ষের কোনো কারন নেই|তবে বাংলার কালী পুজোয় বলীর ইতিহাস অতি প্রাচীন|এককালে ডাকাত রা নর বলী পয্যন্ত দিতো এবং বলী দিয়ে দেবীকে সন্তুষ্ট করে ডাকাতি করতে যেতো, রঘু ডাকাত, বিশে ডাকাত, চিতে ডাকাত এদের সবার পুজো তেই বলী হতো|বনেদী বাড়ির পুজো গুলোতেও বলী হতো|এখন অধিকাংশ জায়গায় থেকে বলী লুপ্ত হয়েছে, কোথাও কোথাও কুমড়ো বা আখ বলী দিয়ে নিয়ম রক্ষা করা হয়|আসন্ন দীপান্বিতা অমাবস্যায় আমি থাকছি তারাপীঠে, হবে বিশেষ পুজো, হোম যজ্ঞ ও বহু মানুষের দোষ খণ্ডন|সরাসরি সম্প্রচার হবে সোশ্যাল মিডিয়ায়|আপনিও চাইলে অংশগ্রহণ করতে পারেন, নিজের জীবনের গ্রহগত কুপ্রভাব কাটিয়ে সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন|যোগাযোগ করুন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|