কালী কথা – সপ্তম পর্ব

647

তন্ত্রশাস্ত্রে কালী পুজো একটি অপরিহার্য বিষয়, তবে বিভিন্ন রূপে কালীকে পুজো করা হয়|কেউ আবার দশমহাবিদ্যা রূপ গুলির ও সাধনা করেন|তবে শাস্ত্রে আটটি ভিন্ন কালী রূপের উল্লেখ আছে এবং প্রতিটি রূপের আলাদা তাৎপর্য ও ব্যাখ্যা আছে|

তন্ত্র পুরাণে দেবী কালীর একাধিক রূপভেদের উল্লেখ পাওয়া যায়। শাস্ত্র মতে, কালী আট প্রকার। দক্ষিণকালিকা, সিদ্ধকালিকা, গুহ্যকালিকা, শ্রীকালিকা, ভদ্রকালী, চামুণ্ডাকালিকা, শ্মশানকালিকা ও মহাকালী। আবার মহাকাল সংহিতার মতে, নয় প্রকার কালীর উল্লেখ পাওয়া যায়। দক্ষিণাকালী, ভদ্রকালী, শ্মশানকালী, কালকালী, গুহ্যকালী, কামকলাকালী, ধণকালিকা, সিদ্ধিকালী, সিদ্ধিকালী, চণ্ডিকালিকা।

শক্তির দেবী হিসাবেই কালী পূজিত হন। সনাতন ধর্ম-মতে এর উল্লেখ মেলে। কালী-নাম মাহাত্ম্যে কাল-কে যদি আলাদা করে নেওয়া হয় তাহলে কাল-এর একাধিক অর্থ বের হয়। কাল মানে সময়, আবার কাল তথা কৃষ্ণবর্ণ। কাল-এর অর্থ-এ লুকিয়ে আছে সংহার- বা মৃত্যু ভাবনাতেও। কালীকে কাল অর্থাৎ সময়ের জন্মদাত্রী বলা যেতে পারে, আবার পালনকর্ত্রী এবং প্রলয়কারিণী নিয়ন্ত্রক বলা হয়।

দীপান্বিতা অমাবস্যা এই কালী সাধনার শ্রেষ্ঠ সময় এবং এই বছর এই দিনে তৈরি হচ্ছে এক মহা যোগ|আমি উপস্থিত থাকবো তারাপীঠে|আপনারা যেকোনো সমস্যার তন্ত্রমতে সমাধানের জন্যে উল্লেখিত নাম্বারে যোগাযোগ করুন|ভালো থাকুন|নমস্কার|