মন্দির রহস্য – বিজলি বাবার মন্দির

393

আজ মন্দির রহস্য পর্বে লিখবো হিমাচল প্রদেশের এক রহস্য ময় শিব মন্দিরের কথা যা বিজলি বাবার মন্দির নামে খ্যাত,কেনো এই অদ্ভুত নাম তা পুরোটা পড়লেই বেশ বুঝতে পারবেন|

হিমাচল প্রদেশ মানেই দেবভূমি। হিমাচলে বহু রহস্যে মোড়া দেবদেবীর মন্দির রয়েছে। তেমনই এক মন্দির এই বিজলি বাবার মন্দির।কুলুর ব্যাস ও পার্বতী নদীর সঙ্গমস্থলে এই মন্দির অবস্থিত|

মহাদেবের এই মন্দিরে প্রতি ১২ বছরে একবার ভয়ঙ্কর বজ্রপাত হয় বজ্রপাতকেই হিন্দিতে বলে বিজলি আর সেই কারনেই এই নাম|প্রতি বারো বছর অন্তর বজ্রপাতে এই মন্দিরের শিবলিঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। সেই সময় মহাদেবের ক্ষত সারিয়ে তোলার জন্য|শিবলিঙ্গের ক্ষতে শুধু মাখনের প্রলেপ দেন মন্দিরের পূজারি।

কেনো বারো বছর পর পর এই বজ্রপাত তা জানতে গেলে এক পৌরাণিক ঘটনা জানতে হবে, পুরান অনুসারে এই অঞ্চলে একটা সময় কুলান্ত নামে এক দৈত্য থাকত। সেই দৈত্য সাপের রূপ ধরতে পারত। একদিন কুলান্ত বিরাটাকার অজগর সাপের রূপ ধরে মথান গ্রামের কাছে ব্যাস নদীতে কুণ্ডলি পাকিয়ে বসে ছিল। ফলে নদীর জলস্রোত বাধা পাচ্ছিল। কিছুক্ষণের মধ্যে ওই অঞ্চলে নদীর জল বাড়তে থাকে। আসলে ওই দৈত্য কুলান্ত ওই গ্রামের সব মানুষকে জলে ডুবিয়ে মারতে চেয়েছিল। কিন্তু মহাদেব কুলান্তের এমন কাজে ক্ষুব্ধ হন। তখন তিনি এসে দাঁড়ান দৈত্যের সামনে এবং ত্রিশূল দিয়ে তাকে বধ করেন|

কথিত আছে, মহাদেব কুলান্তকে বধ করার পর দেবরাজ ইন্দ্রের কাছে প্রতি ১২ বছর পর ওখানে বজ্রপাত ঘটানোর আবেদন করেন। সেই আদেশ অনুসারে প্রতি বারো বছরে বজ্রপাত হয় যাতে ওই অঞ্চলে মানুষের কোনও ক্ষতি না হয় সেই জন্যে বজ্রপাত হয় মন্দিরের উপর।

আজ এখানেই থামলাম, তবে বিদায় নেয়ার আগে জানিয়ে রাখি জ্যোতিষ পরামর্শ বা প্রতিকারের জন্যে যারা আমার সাথে যোগাযোগ করতে চাইছেন তারা একবার উল্লেখিত নাম্বারে ফোন করে জেনে নেবেন আমাকে কবে কখন ও কোথায় পাবেন|ফিরবো আগামী পর্বে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|