শিব কথা – শরভ অবতার

1804

সবে মহাশিবরাত্রি শেষ হলো, তবে সারা চৈত্র মাসই শিবের গুনগান করার মাস , যদিও শৈব্য দের মধ্যে অবতার তত্ব প্রচলিত নেই তবে শাস্ত্রে শিবের বেশ কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন রূপ বা অবতারের উল্লেখি পাওয়া যায়, এই মাস জুড়ে তাদের কথা বলবো সঙ্গে থাকবে আরো দেবাদিদেব কে নিয়ে আরো অনেক গল্প, আজ লিখবো শরভ অবতার নিয়ে|

নৃসিংহ দেবের হাতে হিরণ্য কশিপুর বধ হলো কিন্তু নৃসিংহদেবের ক্রোধ কম হল না। তিনি ভয়ানক ধ্বংসলীলা চালিয়ে যেতে থাকেন। এই সময়ে সব দেবতারা একসাথে শিবের শরণ নেন। তাঁরা বুঝতে পারেন, একমাত্র মহাদেবই পৃথিবীকে রক্ষা করতে পারেন। শিব বীরভদ্র ও ভদ্রকালীকে প্রেরণ করেন নৃসিংহকে থামানোর জন্য। কিন্তু মহাপ্রতাপ নৃসিংহ সেই দুই মহাশক্তিকেও বিপর্যস্ত করে ফেলেন। এমতাবস্থায় মহাদেব নিজেই শরভ নামের এক বিচিত্রদর্শন প্রাণীর রূপ নিয়ে আবির্ভূত হন।

শরভ এক সুবিশাল পাখি। তাঁর সহস্রবাহু এবং পশুর মতো দেহ|নৃসিংহ ও শরভ অবতারের মধ্যে ভয়ানক যুদ্ধ হয়|শরভের আঘাতে নৃসিংহ আত্মসংবরণ করেন। শরভই শেষ করেন নৃসিংহের লীলা।নৃসিংহ দেবের ক্রোধ থেকে রক্ষা পায় সৃষ্টি |

শিব নিজে একজন পরম বৈষ্ণব এবং নৃসিংহ দেব স্বয়ং বিষ্ণু| ভক্তের দ্বারা ভগবানের বধ বা ভক্ত এবং ভগবানের যুদ্ধ সনাতন ধর্ম শাস্ত্রের অতি বিরল ঘটনা|এই যুদ্ধ ও দুর্লভ অলৌকিক ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায় নৃসিংহ পুরান ও শিব পুরানে |

আগামী পর্বে শিব কে নিয়ে অন্য কোনো পৌরাণিক কাহিনী আপনাদের শোনাবো, পড়তে থাকুন, জ্যোতিষ পরামর্শনিতে, প্রতিকার করাতে যোগাযোগ করুন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|