আপনাদের ভালোবাসা ও উৎসাহকে সম্বল করে কলকাতার কালী শীর্ষক এই ধারাবাহিক লেখণী কলকাতার ভৌগোলিক সীমা অতিক্রম করে জেলায় পা রেখেছে আগেই, আজ সেই ধারাবাহিকতা অনুসরণ করে হুগলী জেলার আরামবাগের কাছে অবস্থিত একটি কালী মন্দির নিয়ে লিখছি, এই প্রসিদ্ধ কালী মন্দির নিয়ে প্রচলিত রয়েছে অসংখ্য অলৌকিক ঘটনা|
হুগলি জেলার আরামবাগ স্টেশন থেকে মাত্র দু কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তিরোল গ্রামের খ্যাপা কালীর মন্দির, এই মন্দিরেরে দেবীকে অত্যন্ত জাগ্রত বলে বিশ্বাস করেন সবাই, কথিত আছে এই মায়ের আশীর্বাদে নাকি মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীরা সুস্থ হয়ে ওঠেন অলৌকিক ভাবে|
আজ থেকে প্রায় পাঁচশো বছর আগে স্বপ্নাদেশ পেয়ে মায়ের মন্দির প্রতিষ্ঠা করে তার পূজা শুরু করিয়েছিলেন এখানকার জমিদার ধর্মপ্রাণ দীননাথ চক্রবর্তী, শোনা যায় তিরোলের দেবীর হাতের বালা কোনো মানসিক রোগীকে পড়ালে তিনি সুস্থ হয়ে যান, আজ অবধি বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন এখানে এসে|
সাহিত্যিক বিভূতি ভূষণ বন্দোপাধ্যায় তিরোলের বালা নামে একটি ছোটো গল্পও লিখেছেন, যা হয়তো আপনারা অনেকেই পড়েছেন, শোনাযায় মা সারদা স্বয়ং তার বৌদির মানসিক রোগ সারাতে এখানে এসে খ্যাপা কালীর পুজো দিয়েছিলেন|পরবর্তীতে নিজের ভাইঝি রানুর জন্যও মা সারদা এখানে এসেছিলেন এবং খ্যাপা কালীর কৃপায় উপকৃত হয়েছিলেন|
এইখানে দেবীর পুজোর কয়েকটি বৈশিষ্ট আছে, মায়ের পুজোর সময় প্রতিবছর মুকুট আসে ধনিয়া খালির বিশ্বাস বাড়ি থেকে, আবার সানাই বাদকরা আসেন একটি নিদ্দিষ্ট গ্রাম থেকে, এমনকি মায়ের দৈব বালাও বংশ পরম্পরায় তৈরি করে চলেছেন এই গ্রামেরই একটি নিদ্দিষ্ট কর্মকার পরিবার|
এখানে কালী পুজোয় বিশেষ ধুমধাম হয় ও পশু বলীর প্রথা এখনো প্রচলিত আছে|দূর দূরান্ত থেকে বহু দর্শনার্থী আসেন মায়ের দর্শন ও আশীর্বাদ পেতে|
আজকের পর্ব এখানেই শেষ করছি, আবার লিখবো একটি নতুন পর্ব, পড়তে থাকুন আর জ্যোতিষ বা তন্ত্র সংক্রান্ত কাজের জন্যে উল্লেখিত নাম্বারে ফোন করে কথা বলতে পারেন নির্দ্বিধায়|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|