গোপন শক্তিপীঠ

439

শক্তিপীঠ বললেই আমরা সাধারণত একান্ন পীঠের কথাই ভেবে থাকি, আবার কিছু শাস্ত্র মতে শক্তি পীঠের প্রকৃত সংখ্যা একান্ন নয় বাহান্ন, এমনকি কিছু প্রাচীন গ্রন্থে শতাধিক শক্তি পীঠের উল্লেখও রয়েছে, অর্থাৎ শক্তি পীঠের সংখ্যা নিয়ে কিঞ্চিৎ মতপার্থক্য রয়েছে, তবে একটি বিষয় নিয়ে সবাই একমত যে বেশ কয়েকটি শক্তিপীঠের প্রকৃত অবস্থান বা স্থান নির্ণয় আজও সম্ভব হয়নি, এমনই চারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং গোপন শক্তিপীঠের কথা আমি আজকের এই বিশেষ পর্বে লিখবো|

প্রথমেই বলবো কালমাধব শক্তিপীঠের কথা, শাস্ত্র মতে এখানে পতিত হয়েছে দেবীর কোমরের বামদিকের অংশ,বিভিন্ন প্রাচীন গ্রন্থে দেবীকে এই পীঠের অধীশ্বরী কালমাধব রূপে বর্ণনা করা হয়েছে এবং ভৈরবের নাম এখানে অসিতানন্দ|এই পীঠযে আসলে কোথায় অবস্থিত তা আজও নিশ্চিত ভাবে বলা যায়নি|

শক্তি পীঠগুলির মধ্যে অন্যতম রত্নাবলী শক্তিপীঠের প্রকৃত অবস্থান নিয়েও বিতর্ক এবং মত পার্থক্য রয়েছে, মনে করা হয় দেবী আদ্যা শক্তির কাঁধের একটি অংশ পড়েছিল এই স্থানে, যদিও বেশিভাগ বিশেষজ্ঞই মনে করেন দক্ষিণ ভারতের মাদ্রাসের কোনো স্থানে রয়েছে এই শক্তি পীঠ তবে, প্রকৃত স্থান আজও অজানাই রয়ে গেছে|

পঞ্চসাগর শক্তিপীঠের প্রকৃত অবস্থানও আজও জানা যায়নি নিশ্চিত ভাবে, যদিও শাস্ত্র মতে এই শক্তি পীঠের অস্তিত্ব আছে এবং এই স্থানে দেবীর চোয়ালের একটা অংশ পড়েছিল|

প্রাচীন শাস্ত্র থেকে একথা স্পষ্ট ভাবে জানা যায় যে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র শ্রীলংকায় ও রয়েছে একটি শক্তিপীঠ, এখানে সম্ভবত দেবীর কিছু গহনা পতিত হয়েছিলো, এই স্থানে দেবী ইন্দ্রাক্ষী এবং ভৈরব রূপে রয়েছেন রাকেস্বর, তবে ঠিক কোন স্থানে এই শক্তি পিঠটি অবস্থান করছে তা নিশ্চিত ভাবে এখনো বলা সম্ভব হয়নি, অর্থাৎ এই শক্তি পীঠকেও একটি গোপন শক্তি পীঠ হিসেবেই ধরা হয়|

আগামী দিনে শক্তি সংক্রান্ত আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা আমি আপনাদের সামনে আনবো, সংঙ্গে থাকবে আরো অনেককিছু,দেখতে থাকুন আমার প্রতিটি অনুষ্ঠান এবং পড়তে থাকুন এই আধ্যাত্মিক লেখালেখি, নিজেদের মতামতও জানান, আর জ্যোতিষ সংক্রান্ত কাজের জন্যে আমার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে নির্দ্বিধায় ফোন করতে পারেন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|