শীতল ষষ্ঠী

763

আশা করি সরস্বতীপুজো ভালোই কেটেছে আপনাদের, তবে আমাদের বাঙালিদের তো পুজো পার্বন আর ব্রতের শেষ নেই, আজ যেমন শীতল ষষ্ঠী, গ্রাম বাংলার বহু গৃহে আজ পালিত হয় এই উৎসব, শীতল ষষ্ঠী পালনের রয়েছে কিছু বিজ্ঞান ভিত্তিক যুক্তি ও বহু প্রাচীন ঐতিহ্য|

যারা শীতল ষষ্ঠী পালন করেন, তাঁরা সরস্বতী পুজোর পরের দিন বাড়িতে কোনও রান্না করেন না। শীতল ষষ্ঠীর দিনে বাড়িতে উনুন না জ্বালানোর প্রথা রয়েছে, অর্থাৎ এদিন সম্পূর্ণ অরন্ধন, এক্ষেত্রে আগের দিন রান্না করে ষষ্ঠীর দিন সবকিছ শীতল বা ঠান্ডা খেতে হয়,

উপাচারের কথা বলতে গেলে এ বেশ সহজ সরল ও ঘরোয়া সরস্বতী পুজোর পর দিন সকালে তিথিগত ভাবে ষষ্ঠী থাকতে থাকতে হয় ষষ্ঠীপুজো। তারপর হয় বাড়ির শীল, নোড়ার পুজো, ফুল, প্রসাদ দিয়ে শীল-নোড়ার পুজো দিয়ে দইয়ের ফোঁটা দেওয়া হয় শীল-নোড়ার গায়ে,তারপর আগে থেকে রান্না করা খাবারের পুজো সম্পন্ন করে শেষ হয় শীতল ষষ্ঠীর উপাচার|

কিছু কিছু স্থানে আঞ্চলিক মরশুমি শাক সবজি দিয়ে আগের দিন তৈরি হয় পাঁচ মিশেলি বিশেষ তরকারি, অর্থাৎ এই উৎসবএর সাথে যোগ রয়েছে, আঞ্চলিক ফসলের আবার শীত গিয়ে আসতে শুরু করেছে বসন্ত ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে শরীরে জীবাণুর বাসা বাঁধতে শুরু করে এই সকল রোগের হাত থেকে বাঁচতে এই টাটকা শাকসবজির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলেও অনেকে বিশ্বাস করেন|

যারা শীতল ষষ্ঠী পালন করছেন, ভক্তি ও শ্রদ্ধা সহকারে করুন, আমাদের সনাতন ধর্মের প্রতিটি ব্রতই গুরুত্বপূর্ণ ও গৃহ কল্যানে বিশেষ কার্যকরী|
এখন বিদায় নিলাম, দেখতে থাকুন টিভির অনুষ্ঠান, ও ইউটিউব এর ভিডিওগুলি আর চেম্বারে বা অনলাইন ভাগ্যবিচারে যোগাযোগ করুন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|