অনেক প্রাচীন কালী মন্দিরের কথা আপনাদের ইতিমধ্যে বলেছি , লিখেছি সেই সব মন্দির সৃষ্টির ইতিহাস ও তাদের সাথে জড়িয়ে থাকা অনেক অলৌকিক ঘটনা|আজ আপনাদের বলবো বাংলার একটি প্রাচীন ও জনপ্রিয় কালী পূজার কথা|যেহেতু আমার বড়ো হয়ে নৈহাটী অঞ্চলেই তাই শৈশব থেকেই নৈহাটির বড়োমার পুজো দেখে আসছি এই বড়ো মাকে নিয়ে বিশেষ কৌতূহল ও তার প্রতি একটা আলাদা রকমের বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধা রয়েছে আমার অন্তরে|আজকের পর্বে নৈহাটির বড়মা|
শোনা যায় আজ থেকে প্রায় একশ বছর আগে এই বড়মার পুজোর প্রচলন করেছিলেন ভবেশ চক্রবর্তী নামে এক নিষ্ঠাবান মাতৃ সাধক,একবার তিনি নদিয়ার কৃষ্ণনগরে রাস উৎসবে গিয়ে সেই সময় বেশি উচ্চতাবিশিষ্ট দেবী মূর্তি দর্শন করেছিলেন তারপরই ফিরে এসেছে তিনি নৈহাটিতে বড়মা কালী মূর্তি তৈরি করে পুজো করার সিদ্ধান্ত নেন এবং তার ইচ্ছায় ও প্রচেষ্টায় সূচনা হয়ে এই বড়মার পুজো|
বড়মার পুজো শুধু নৈহাটি নয়, সারা উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা তথা বাংলার বৃহত্তম কালী পুজোগুলোর মধ্যে অন্যতম|এখানে কালী মূর্তি ১৪ হাত লম্বা অর্থাৎ ২১ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট হয়|
প্রত্যেক বছর লক্ষ্মী পুজোর দিন কাঠামো পুজোর মধ্যে দিয়েই বড়মার পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয় এবং রীতি অনুসারে বড়মার পুজো শুরু হওয়ার পরই অন্যান্য বারোয়ারি কালী পুজোগুলি শুরু হয় এবং
একইভাবে বড়মার বিসর্জনের পরই নৈহাটিতে অন্যান্য কালী প্রতিমার বিসর্জন হয়|
কথিত আছে নৈহাটির বড়মার কাছে শ্রদ্ধা ভরে কিছু প্রার্থনা করলে সেই মনস্কামনা পূর্ণ করেন দেবী তাই প্রতি বছর কালী পুজো উপলক্ষে এখানে অসংখ্য মানুষ আসেন তাদের মনোস্কামনা নিয়ে|
এছাড়াও দেশ বিদেশ থেকে বহু ভক্তরা আসেন বড়মার পুজো দেখতে|
আগামী দিনে আরো অনেক কালী পুজো ও কালী মন্দিরের কথা নিয়ে আমিও আবার আপনাদের সামনে ফিরে আসবো|দেখতে থাকুন আমার টিভির ও ইউটিউব এর অনুষ্ঠানগুলি ও পড়তে থাকুন আমার লেখা লেখি আর জ্যোতিষ সংক্রান্ত প্রশ্ন বা সমস্যা নিয়ে উল্লেখিত নাম্বারে ফোন করে সরাসরি কথা বলুন আমার সাথে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|