বালাজি মন্দির

374

আজ মন্দির রহস্যর এই পর্বে লিখবো রাজস্থানের বালাজি মন্দির যা দেশের অন্যতম রহস্যময় এক মন্দির|এখানে বালাজি বলতে অবশ্য বিষ্ণুকে নয় বজরংবলী কে বোঝায়|

মেহন্দিপুর বালাজি মন্দিরের প্রধান উপাস্য দেবতা শ্রীহনুমান। তাঁর সঙ্গেই মন্দিরে পূজা পান ভৈরব। এবং, এই দুই দেবতার সঙ্গেই মন্দিরে বিরাজ করেন প্রেত রাজ। ভূতের রাজার অবস্থিতির কারণেই এই মন্দিরে প্রায় অবাধ বিচরণ অশরীরীদের|

মন্দির সৃষ্টির সাথেও জড়িয়ে আছে এক অলৌকিক ও রহস্যময় কাহিনী, কথিত আছে আচমকাই এক পুরোহিত স্বপ্নে দর্শন পান বালাজির। বালাজি তাঁকে বলেন, আরাবল্লী পর্বতের মাঝে এক জঙ্গলে তাঁর আর প্রেত রাজের মূর্তি সমাধিস্থ রয়েছে। নির্দেশ দেন, ওই মূর্তি তুলে এনে মন্দিরে রেখে পুজো করার|খোঁজা খুঁজির পরেও পুরোহিত অবশ্য ওই বিগ্রহ খুঁজে পাননি। পরে বালাজিই তাঁকে স্বপ্নে আবার দেখা দিয়ে জায়গাটা চিনিয়ে দেন। তার পর, জঙ্গল কেটে গড়ে ওঠে এই বালাজি মন্দির।

এই মন্দিরে তিনটি বিগ্রহের পুজো হয়। বালাজি বা বজরঙ্গবলি, প্রেত রাজ এবং কাল ভৈরব। অনেকেই বিশ্বাস করেন যে কারোর ওপর অশুভ শক্তি ভর করলে এই মন্দিরে তা দূর করা সম্ভব|

এই মন্দিরে পুজো দেওয়ার রীতিও অবাক করার মতো। এক বাক্স লাড্ডুর মধ্যে তিন দেবতাকে প্রথমে একটি করে নিবেদন করা হয়। তার পর বাকি লাড্ডু ছুঁড়ে দিতে হয় মন্দিরের আনাচে-কানাচে। অশরীরীদের জন্য।

মন্দির চত্বরে পা রাখা মাত্র অনুভব করা যায়, প্রেতাত্মার অশরীরী উপস্থিতি। সেই কারণেই ভূত ঝাড়ানোর জন্য এই মন্দিরের প্রসিদ্ধি রয়েছে। দূর দূর থেকে ভক্তরা আসেন প্রেতগ্রস্ত প্রিয়জনের মুক্তি কামনায়|এখানে পুজো দেয়া প্রসাদ গৃহে নিয়ে যাওয়া হয়না এমনকি পুজো দিয়ে চলে আসার সময়ে আর পিছনে ফিরে দেখার নিয়ম নেই পাছে কোনও অতৃপ্ত আত্মা এসে গ্রাস করে|

ভুত প্রেত ও অশুভ শক্তির জন্যে প্রসিদ্ধ এই মন্দির আর সেখানেই লুকিয়ে আছে প্রধান রহস্য|ভূতে বিশ্বাস না করলেও এই মন্দিরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে আপনার গা ছমছম করবেই|নিজের চারপাশে উপলব্ধি করবেন অসংখ্য অশরীরীর উপস্থিতি|

আজ এখানেই শেষ করছি|আগামী অমাবস্যায় হৃদয়েশ্বরী সর্বমঙ্গলা মায়ের মন্দিরে বিশেষ পূজা ও গ্রহদোষ খণ্ডনের জন্যে ও সকল প্রকার জ্যোতিষ পরামর্শ বা প্রতিকারের জন্যে যোগাযোগ করুন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|