কৃষ্ণ কথা – শ্রী কৃষ্ণের জন্ম বৃত্তান্ত

11

কৃষ্ণ কথা – শ্রী কৃষ্ণের জন্ম বৃত্তান্ত

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

সনাতন ধর্মে দেবতা অনেক তবে স্বয়ং ভগবান একমাত্র শ্রী কৃষ্ণ। অধর্ম নাশ করতে ধর্ম পুনঃরস্থাপন করতে পৃথিবীতে তার আগমন।

 

ভাদ্রমাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে মথুরায় জন্ম হয় তাঁর। সেই সময় মথুরার রাজা ছিলেন দেবকীর ভাই কংস। তাঁকে ভবিষ্যবাণী করা হয়েছিল, দেবকী ও বাসুদেবের অষ্টম পুত্র তাঁকে হত্যা করবে।

 

কথিত আছে, কংস তাঁর বোন ও ভগ্নি-পতীকে ভালোবাসতেন। কিন্তু, তাঁদের অষ্টম পুত্র তাঁকে হত্যা করবে, এই ভবিষ্যবাণী শোনার পর তাঁদের সব সন্তানকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন কংস। প্রথম ছয় সন্তানকে হত্যা করতে সক্ষমও হন। সপ্তম সন্তানের হদিশ পাননি কংস। অষ্টম সন্তান, অর্থাৎ কৃষ্ণের জন্মের সময় গোটা রাজ্য ঘুমিয়ে পড়েছিল। বাসুদেব গোপনে সেই সন্তানকে বৃন্দাবনের নন্দ বাবা ও যশোধাকে হস্তান্তরিত করেন।তার পরিবর্তে এক কন্যাসন্তানকে নিয়ে আসনে বাসুদেব ও দেবকী। যাতে তাঁদের অষ্টম সন্তান কৃষ্ণের কোনও খোঁজ না পান কংস। ওই কন্যাসন্তানকে নিয়ে এসে অসুরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু, তিনি যখন তাকে হত্যা করতে উদ্যত হন, সেই সময় ওই কন্যাসন্তান দেবী দুর্গায় রূপ ধারণ করেন। তিনি কংসকে সব কুকর্মের জন্য সতর্ক করে দেন।এদিকে বৃন্দাবনে বেড়ে ওঠেন কৃষ্ণ। সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর কোনও ধারণা ছিল না। যখন আরও বড় হয়ে ওঠেন, গোটা বিষয়টি তিনি শোনেন। তার পর সোজা মথুরা চলে আসেন। এখানে এসে কংসকে হত্যা করেন। দেখা হয় মা বাবা দেবকী ও বাসুদেবের সঙ্গে।পরবর্তীতে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে তার ভূমিকা ও দ্বারকায় জীবনের শেষ অধ্যায় নিয়ে শাস্ত্রে বিস্তারিত ব্যাখ্যা আছে। আছে দ্বারকা নগরীর দিব্য উপস্থিতি।

 

দামোদর মাস উপলক্ষে শ্রী কৃষ্ণ সংক্রান্ত নানা ঘটনা এবং ব্যাখ্যা আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি আগামী দিনেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।

পড়তে থাকুন। ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।