কৃষ্ণ কথা – গীতা মাহাত্ম
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
শ্রী কৃষ্ণ রূপে ভগবান বিশ্বকে যে অমূল্য জ্ঞান প্রদান করেছিলেন তার সমস্তটাই সমাহিত আছে গীতায়। এই দামোদর মাসে গীতা শ্রবণ বা গীতা পাঠের বিশেষ মাহাত্ম আছে।
গীতা কোনো ধর্মীয় পুস্তক নয়, গীতা আধ্যাত্মিক জ্ঞানের ভান্ডার এবং পৃথিবীর শ্রেষ্ট মোটিভেশনাল বুক যা মানব সমাজকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসতে পারে।
গীতা কি? এক কথায় এর উত্তর কুরুক্ষেত্র ময়দানে অর্জুনকে ভগবান কৃষ্ণ প্রদত্ত জ্ঞান|গীতায় ভগবান কৃষ্ণ প্রায় ৪৫ মিনিট পর্যন্ত এই জ্ঞান দিয়েছিলেন তিনি।গীতায় মোট 18 টি অধ্যায় ও 700 শ্লোক আছে যার মধ্যে কৃষ্ণ ৫৭৪, অর্জুন ৮৫, সঞ্জয় ৪০ ও ধৃতরাষ্ট্র ১টি শ্লোক বলেছিলেন।
প্রতিটি শ্লোক এবং অধ্যায়ের রয়েছে বিশেষ তাৎপর্য।
পৃথিবীর সমস্ত আধ্যাত্মিক গ্রন্থের মধ্যে শ্রীমদ্ভগবত গীতাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। এতে জীবনের সার নিহিত রয়েছে। আবার দ্বাপর যুগে কৃষ্ণের সমস্ত লীলার বর্ণনাও পাওয়া যায় গীতায়। অর্জুন ও কৃষ্ণ সম্বাদ গীতায় স্থান পেয়েছে। গীতায় জ্ঞানযোগ, কর্মযোগ, ভক্তিযোগ, রাজযোগ, একেশ্বরবাদ ইত্যাদির আলোচনা করা হয়েছে। ব্যক্তিকে কর্মের গুরুত্ব বোঝায় গীতা। এমনকি শ্রেষ্ঠ মানব জীবনের সার রয়েছে এই গীতার মধ্যে। ও জীবনের সঙ্গে জড়িত প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর এবং সমস্যার সমাধান পাওয়া যেতে পারে|
পবিত্র দামোদর মাসে গীতাকে জানুন। ভগবানেকে জানা সহজ হবে। পরম আধ্যাত্মিক প্রাপ্তি হবে।
ফিরে আসবো কৃষ্ণ কথার পরবর্তী পর্ব নিয়ে পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ।
