কালী কথা – রিষড়ার সিদ্ধেশ্বরী কালী
কালী কথা – রিষড়ার সিদ্ধেশ্বরী কালী
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
গঙ্গার দুই তীরজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে যে হাজারও কালী মন্দির তারমধ্যে রিষড়ার সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির অন্যতম।সাধক জটাধর পাকড়াশী কর্তৃক কালী মন্দিরে মাকে ঠাকরানী নামেও ডাকা হয়। আজ কালী কথায় এই মমদিরের কথা জানাবো।
তন্ত্র সাধক জটাধর পাকড়াশী নামে এক তান্ত্রিক হুগলী জেলার রিষড়ার সাধনা করতেন। একদিন তিনি স্বপ্নাদেশ পান। বর্তমান মন্দিরের বাম পাশে এক দীঘিতে একটি ভাসমান ঘট দেখতে পান। ঘটটিকে জল থেকে তুললেন। তারপর গোলপাতা দিয়ে মন্দির তৈরি করলেন। স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী মায়ের কৃষ্ণবর্ণের দ্বিভুজা মূর্তি তৈরি করে নিত্য পুজো শুরু করেন।
পরবর্তীতে তিনি সিদ্ধেশ্বরী মন্দির সংলগ্ন
জায়গাটি ব্রহ্মোত্তোর জমি হিসেবে পান
সেখানেই থাকতে আরম্ভ করেন জটাধর পাকড়াশী। তৈরি হয় মন্দির।
সিদ্ধেশ্বরী রূপ মায়ের শান্ত স্নিগ্ধ রূপ।
মায়ের লোল জিভ থাকে না।
অর্থাৎ তিনি জিভ বের করে থাকেন না।
কালীর গলায় নর মুণ্ডমালা থাকে। সিদ্ধেশ্বরী মায়ের গলায় মুণ্ডমালা নেই। আদপে মা কৃষ্ণকালীর আরেক রূপ।
মাতৃমূর্তির উচ্চতা ছয়।ফুট তবে আর মৃন্ময়ী নয়, দেবী কালিকা এখন মর্মর মূর্তিতে বিরাজিতা। পাশেই রয়েছে মায়ের ভৈরব শিবের মন্দির। দেবী কালিকার পদতলে শিব থাকেন না, একপাশে শায়িত থাকেন।সিদ্ধেশ্বরী দ্বিভুজা, দেবীর ডান হাতে রয়েছে খড়্গ ও বাম হাতে নরমুণ্ড। এখন নবরত্ন মন্দিরে মায়ের নিত্য পুজো হয় দু’বেলা।
প্রাচীন কিছু গ্রন্থে রিষড়ার অধিষ্ঠাত্রী দেবী রূপে শ্রীশ্রী সিদ্ধেশ্বরী কালী বিরাজ করছেন রিষড়াবাসীদের বিশ্বাস মা সিদ্ধেশ্বরী তাঁদের আগলে রেখেছেন সব বিপদ আপদ থেকে।
ফিরে আসবো আগামী পর্বে আবার কালী কথা নিয়ে। থাকবে অন্য এক কালী মন্দিরের কথা। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।