কালী কথা – আদি কালী মন্দির 

13

কালী কথা – আদি কালী মন্দির

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

আসন্ন দীপান্বিতা অমাবস্যা উপলক্ষে আজ থেকে আবার শুরু করছি কালী কথা। ধারাবাহিক লিখবো বাংলার প্রসিদ্ধ কিছু কালী মন্দির নিয়ে। থাকবে। নানা অলৌকিক ঘটনা এবং ইতিহাস।

 

আজ শুরুতে বঙ্গোপ সাগরের মোহনায় অবস্থিত গঙ্গা সাগর দ্বীপ সংলগ্ন এক প্রাচীন কালী মন্দির।আলোচনা করবো।

 

একবার সাগরদ্বীপের এক বাসিন্দা মাকালীর স্বপ্নাদেশ পান। সেইমতো তিনি ঘন জঙ্গল পরিষ্কার করে একটি বট গাছের নিচে মন্দির তৈরি করে কালী মূর্তির প্রতিষ্ঠা করেন। এই মন্দির ছিলো সম্ভবত এই অঞ্চলের প্রাচীনতম কালী মন্দির তাই এই মন্দির আদি কালীমন্দির নামে পরিচিত।সেই থেকে ওই মন্দিরে কালী পুজাে হয়ে আসছে।

 

তবে সেই বট গাছের কিছু বিশ্বসত্ত্ব আছে।

সুন্দরবন সংলগ্ন সাগরদ্বীপ তখন ছিল ঘন জঙ্গলে ঢাকা। রুটি-রুজির টানে সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকার মানুষ এই দ্বীপে এসে কাঠ ও মধু সংগ্রহ করতেন। তখন জঙ্গলের হিংস্র জীবজন্তু এবং জল দস্যু দের হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে বন বিবির পুজোর পাশাপাশি এই বটবৃক্ষের তলায় কালী পূজা করে জঙ্গলে । তখন সেই স্থানে কোনো স্থায়ী মন্দির ছিলো না।স্বপ্নাদেশের পর তৈরী হয় মন্দির।

 

জাগ্রত এই কালীমন্দিরে মনস্কামনা জানাতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বহু মানুষ ছুটে আসেন পুজো দিতে। প্রতিবছর কালীপুজোর দিন জাঁকজমকের সঙ্গে গঙ্গাসাগরে আদি কালীমন্দিরে পূজিতা হন মা কালী।শোনা যায় আদি কালী মন্দিরে করা মনোস্কামনা দ্রুত পূরণ হয়।

 

এই আদি কালী মন্দিরে নিত্য পুজোর ব্যবস্থা রয়েছে এছাড়াও প্রতি অমাবস্যা এবং

সপ্তাহে মঙ্গলবার ও শনিবার বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। বংশ পরম্পরায় সেই শুরুর দিন থেকে মায়ের সেবা করে আসছেন এখানকার পুরোহিতরা।

 

এমন আরো প্রাচীন এবং প্রসিদ্ধ কালী মন্দিরের কথা হবে কালী কথায়।আবার ফিরে আসবো আগামী পর্বে।পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।