নব রাত্রি – দেবী মহাগৌরী

61

নব রাত্রি – দেবী মহাগৌরী

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

দেবীর অষ্টম রূপ হল মহাগৌরী রূপ।দেবী কালরাত্রির উগ্রতা এবং ক্রোধ ত্যাগ করে দেবী মহা গৌরী রূপে শান্তি এবং মৈত্রীর বার্তা দেন।

 

মহাগৌরী শব্দের আভিধানিক অর্থ ধরলে মহা মানে মহান। আর গৌরী মানে ফর্সা।এই দেবীর রূপ এতই ফর্সা যে তাঁকে শঙ্খ, চাঁদ আর জুঁই ফুলের সঙ্গে তুলনা করা হয়।

 

শাস্ত্র মতে হিমায়লকন্যা ছিলেন গৌরবর্ণা। শিবের জন্য কঠোর তপস্যা করে রৌদ্রে তিনি কৃষ্ণবর্ণা হন| মহাদেব যখন গঙ্গাজল দিয়ে তাকে স্নান করান, তখন তিনি হয়ে ওঠেন পুনরায় গৌর বর্ণা|দেবীর এই রূপের নাম হয় মহাগৌরী|

 

দেবী এই রূপে হাতির পিঠে চার হাতে অস্ত্র নিয়ে বিরাজ করেন |আগেই বলেছি মহা গৌরী গায়ের রং শ্বেতবর্ণ, তিনি শান্ত প্রকৃতির দেবী। আট বছরের বালিকা রূপে তিনি পূজিতা হন। দেবীর এক হাত শোভিত বরাভয় মুদ্রায়। বাকি তিন হাতে থাকে পদ্ম, ত্রিশূল এবং ডমরু।

 

শাস্ত্র মতে এই রূপের পুজোয় কেটে যায় বিবাহ সম্পর্কিত বাধা।যাদের বিবাহে বিলম্ব বা বাঁধা আসছে অথবা বিবাহিত জীবন সুখের নয় তারা এই দেবীর আশীর্বাদে সমস্যার সমাধান পেতে পারেন।দেবী পরম পবিত্রতার প্রতীক এবং

অত্যন্ত করুণাময়ী।সাধকরা মনে করেন দেবী পার্বতীর এই স্বরূপ পরমসাত্ত্বিকের আধার।

তার দর্শন মাত্র মনের ভয় এবং অশান্তি দুর হয়।

 

কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের কাছে অন্নপূর্ণা মন্দিরে দেবী মহা গৌরী বিরাজ করছেন।অনেকেই কাশীতে আসেন দেবীর আশীর্বাদ পেতে।

 

নব রাত্রি উপলক্ষে বিশেষ পর্বে দেবীর পরবর্তী রূপ নিয়ে।ফিরে আসবো। পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।