নব রাত্রি – দেবী কাল রাত্রি
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
নব দুর্গার সপ্তম রূপ হল কালরাত্রি।যার পুজো হয় নব রাত্রির সপ্তম রাতে।আজ দেবীর এই রূপের শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা আপনাদের জানাবো।
বিভিন্ন অস্ত্র ও গহনায় সজ্জিত হয়ে দেবী ধরা দেন কালরাত্রি রূপে|দেবী কৃষ্ণবর্ণা ও ত্রিনয়না|দেবীর বাহন গর্ধব|চতুর্ভুজা দেবী ভীষণদর্শনা|দেবীর তিন হাতে অস্ত্র | এক হাতে ভক্তদের প্রতি বরাভয়।
অর্থাৎ একই সাথে দেবী ক্রোধন্বিতা আবার দয়াশীলা।
দেবীর কালরাত্রি রূপের আরাধনায় কেটে যায় সব সংকট| শাক্ত শাস্ত্রানুযায়ী একজন প্রকৃত সাধকের
মন কাল রাত্রির আবির্ভাবের রাতে সম্পূর্ণভাবে মাতা কালরাত্রির স্বরূপে বিলীন হয়ে যায় যদি তার সাধনা শাস্ত্র সম্মত এবং ত্রুটি মুক্ত হয়।
শাস্ত্র মতে দেবীর সাক্ষাৎ পেলে সাধক মহাপুণ্যের ভাগী হন। তাঁর সমস্ত পাপ ও বাধাবিঘ্ন নাশ হয় এবং তিনি অক্ষয় পুণ্যধাম প্রাপ্ত হন।দেবী কালরাত্রি দুষ্টের দমন করেন, অশুভ গ্রহের বাধা দূর করেন এবং ভক্তদের আগুন, জল, হিংস্র জন্তু জানোয়ার, শত্রু ও রাত্রির ভয় থেকে মুক্ত করেন।দেবী কালরাত্রির উপাসনা করলেই দৈত্য, দানব, রাক্ষস, ভূত ও প্রেত পালিয়ে যায়।কালরাত্রির রূপ ভয়ংকর হলেও তিনি শুভফলের দেবী।তার অপর নাম শুভঙ্করী।
চলছে নব রাত্রি।এখনো দেবীর কয়েকটি রূপের বর্ণনা বাকি আছে আগামী পর্বে ফিরবো দেবীর পরবর্তী রূপ নিয়ে|পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।
