অক্ষয় তৃতীয়ার শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
যেকোনও শুভ কাজ আরম্ভের জন্য অক্ষয় তৃতীয়া তিথিকে প্রশস্ত বলে মনে করা হয়|আজ যেকোনো শুভ কাজ শুরু হলে তা সফল এবং স্বার্থক হয়।কারন বহু পৌরাণিক শুভ ঘটনা ঘটেছে এই তিথিতে।
এই অক্ষয় তৃতীয়ার দিনই মহাভারত রচনা শুরু করেছিলেন ব্যসদেব। তিনি এই চান্দ্র বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতেই মহাভারতের শ্লোক উচ্চারণ শুরু করেন আর সিদ্ধিদাতা গণেশ তা লিখতে শুরু করেন।
ভীষণ গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহে মা যশোদা গোপালের সারা অঙ্গে চন্দন লেপন করে রাখতেন দহন কমানোর জন্য। সেই প্রথা মেনে আজও মহাপ্রভু জগন্নাথ দেবের গাত্র দহন নিবারণের জন্য অঙ্গ সেবা ও চন্দন লেপন একুশ দিন
ধরে অনুষ্ঠিত হয়। এই চন্দন যাত্রার সূচনা হয় অক্ষয় তৃতীয়ায়।
বিষ্ণুর দশাবতারের ষষ্ঠ অবতার পরশুরামের জন্ম চান্দ্র বৈশাখ মাসের শুক্লা তৃতীয়া তিথিতে অর্থাৎ এই অক্ষয়তৃতীয়ার দিনে হয়েছিলো।
তাই দেশের বহু স্থানে আজকের দিনটি ‘পরশুরাম জয়ন্তী’ হিসেবেও পালিত হয়|
তন্ত্রের জগতেও এই তিথি তাৎপর্যপূর্ণ কারন অক্ষয় তৃতীয়া হল দশমহাবিদ্যার অন্যতম দেবী ধুমাবতীর আবির্ভাব তিথি। আবার অক্ষয় তৃতীয়ার দিনেই কাশীতে দেবী অন্নপূর্ণার আবির্ভাব ঘটে।
অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে সত্যযুগের অবসান হয়ে ত্রেতা যুগের সূচনা হয়।
সবাইকে জানাই শুভ অক্ষয় তৃতীয়া।
ফিরে আসবো পরের পর্ব নিয়ে।
ধারাবাহিক আধ্যাত্মিক আলোচনা
নিয়ে। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।