অক্ষয় তৃতীয়ার শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা

37

অক্ষয় তৃতীয়ার শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

আজ অক্ষয় তৃতীয়ার শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা আপনাদের শোনাবো।জানাবো এই অনুষ্ঠানের আধ্যাত্মিক তাৎপর্য।

 

আমাদের বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে যেকোনো শুভ কাজ শুরু করা যেতে পারে আজকের দিনে|আজকের দিনে সোনা রুপো বা মূল্যবান রত্ন ক্রয় করে গৃহে আনলে গৃহস্তের কল্যাণ হয় তাছাড়া আজ লক্ষী ও কুবেরের পুজোর মাধ্যমেও সৌভাগ্য লাভ করা যায়|

 

দেবী লক্ষী ধন প্রদান করেন এবং সেই ধন সম্পত্তির রক্ষাকর্তা হলেন কুবের তাই এই দুজন সন্তুষ্ট থাকলে তবেই অক্ষয় থাকে সম্পদ। আজ কুবের এবং মহা লক্ষী দুজনের আশীর্বাদ পাওয়ার দিন।

 

পুরান এবং বিভিন্ন শাস্ত্রে এই উৎসব সম্পর্কে অনেক তথ্য আছে।সনাতন ধর্মে ধন ও সম্পদের দেবতা হলেন রাবনের ভ্রাতা এবং মহাদেবের অন্যতম ভক্ত কুবেরদেব|আসলে হলেন দেবতাদের কোষাধক্ষ্য তাকে প্রতারিত করে লঙ্কা থেকে বিতাড়িত করেন রাবন এবং ছিনিয়ে নেন তার পুস্পক রথ, যে ব্যবহিত হয়েছিলো পরবর্তীতে রামায়নের সময়ে|তবে কুবের হাল ছাড়েননি কঠোর তপস্যায় মহাদেবকে সন্তুষ্ট করে তিনি জগতের সমস্ত বৈভব ও ঐশ্বর্যর দেবতা হন|

 

পুরাণ মতে আজকের এই অক্ষয় তৃতীয়ার তিথিতেই কুবেরকে তাঁর অনন্ত বৈভব দান করেছিলেন স্বয়ং মহাদেব। পরবর্তীতে দেব শিল্পী বিশ্বকর্মা কৈলাসের কাছে অলকায় কুবেরের প্রাসাদ তৈরি করে দেন যা অলোকাপুরী নামে খ্যাত|

 

বিশ্বাস করা হয় আজ কুবেরের পুজো করলে এবং তার কাছে নিজের অভাব অভিযোগ জানালে তিনি কাউকে শুন্য হাতে ফেরান না।আরো অনেক পৌরাণিক বিষয় জড়িয়ে আছে অক্ষয় তৃতীয়ার সঙ্গে সেই সব পৌরাণিক ঘটনা এবং ব্যাখ্যা নিয়ে ফিরে আসবো আগামী পর্বে।

পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।