কৃষ্ণ কথা – নরকাসুর বধ

37

কৃষ্ণ কথা – নরকাসুর বধ

কৃষ্ণ কথা – নরকাসুর বধ

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

শ্রী কৃষ্ণ এই সৃষ্টিকে একাধিক বার বহু ভয়ঙ্কর অসুরের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। বহু অসুর কে বধ করে তাদের উচিৎ শিক্ষা দিয়েছিলেন। এমনই এক অসুর ছিলো নরকাসুর। আজকের পর্বে জানাবো এই নরকাসুর বধের কথা।

পুরান অনুসারে নরকাসুর নামে এক অসুর তার শক্তি দিয়ে দেবতা ও ঋষিদের সঙ্গে ১৬ হাজার একশত সুন্দরী রাজকন্যাকে বন্দী করেছিল এবং তাদের নিজের দাসী বানিয়ে রেখে ছিলো।
নরকাসুরের অত্যাচারে দেবতা ও সাধুরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শরণাপন্ন হন।কিন্তু নরকাসুরকে বধ করা ভগবানের পক্ষেও সহজ ছিলো না কারন
নরকাসের নিয়তি ছিলো যে সে এক মহিলার হাতে বধ হবে।তাই ভগবান শ্রী কৃষ্ণ তাঁর স্ত্রী সত্যভামার
সহায়তা চান এবং কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীতে শ্রী কৃষ্ণ এবং তার স্ত্রী সত্য ভামা নরকাসুরকে যুদ্ধে পরাজিত করেন এবং বধ করেন এবং ১৬ হাজার একশত রাজকন্যাকে তাঁদের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করেন।

নরকাসুরের মৃত্যুর পর বন্দী দশা থেকে মুক্তি পেয়ে সেই ষোলো হাজার রমণী শ্রী কৃষ্ণের কাছে তাদের উদ্ধার করার প্রার্থনা জানান। স্বামী ছাড়া সেই যুগে রমণীদের সমাজে সন্মান এবং নিরাপত্তা হীনতায় ভুগতে হতো তাই তাদের নিরাপত্তা এবং সন্মান প্রদান করতে শ্রী কৃষ্ণ তাদের শাস্ত্র মতে বিবাহ করেন। এই কারণেই শ্রী কৃষ্ণের ষোলো হাজার স্ত্রীর কথা শাস্ত্রে উল্লেখ আছে।

নরকাসুরকে বধের তিথি আজও নরক চতুর্দশী রূপে পালিত হয়।কথিত আছে যে, শ্রীকৃষ্ণ যখন নরকাসুরকে বধ করেছিলেন, তখন তাকে বধ করার পর তিনি তেল দিয়ে স্নান করেছিলেন তাই আজও নরক চতুর্দশীতে তেল মাখানোর বা তেল অর্পণ করার রীতি প্রচলিত আছে।

ফিরে আসবো কৃষ্ণকথার পরবর্তী পর্ব নিয়ে। থাকবে কৃষ্ণ সংক্রান্ত এরকম অনেক তথ্য এবং পৌরাণিক ঘটনা। পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।