দেবভূমিতে পন্ডিতজি

16

দেবভূমিতে পন্ডিতজি

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

দেবভূমি উত্তরাখন্ড কেনো যে দেব ভূমি তা এখানকার কয়েকটি বিশেষ স্থানে এলে বেশ বোঝা যায়। এমনই একটি স্থান রানীক্ষেত এবং এর আশেপাশের এলাকা। এখানেই আছে ঝুলা দেবী মন্দির। এই পবিত্র মন্দিরটি দেবী দুর্গার উদ্দেশ্যে নিবেদিত এবং এর নামকরণ করা হয়েছে ঝুলা দেবী কারণ অধিষ্ঠাত্রী দেবীকে দোলনার উপর বসে থাকতে দেখা যায়। এই মন্দিরটি ৭০০ বছরের পুরনো। চার পাশের প্রকৃতি এক কথায় অপূর্ব।
আমি এবং আমার পরিবার আজ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে এক কথায় মুগ্ধ।

তারপর গেলাম জিম করবেট জাতীয় উদ্যান দেখতে।এই উদ্যানটি বিপন্ন প্রজাতি, অনন্য উদ্ভিদ ও প্রাণী, শান্ত পরিবেশ এবং অনুকূল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেয়। উত্তরাখণ্ডের পৌরি গাড়োয়াল, আলমোড়া এবং নৈনিতালের মনোরম অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত, জিম করবেট কেবল ভারতের প্রাচীনতম জাতীয় উদ্যানগুলির মধ্যে একটি নয়, বরং বিপন্ন বেঙ্গল টাইগার সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।নৈনিতাল জেলায় এই অঞ্চলে এক সময় বাঘ শিকার করতেন করবেট সাহেব তার নামেই এই পার্কের নাম। তবে তিনি নিছক শিকারি ছিলেন না তিনি ছিলেন বণ্য প্রাণ প্রেমিক কেবল মাত্র নর খাদক বাঘ সংহার করতে তার ডাক পড়তো।

কৌশানির কথা আলাদা করে বলতে হয় ছোট্ট রাজ্য উত্তরাখণ্ডের কৌশানি শহর অনেকটা রূপকথার রাজ্যের মতো। তুষারশুভ্র হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এই ছোট্ট শহরের রূপসৌন্দর্য এক কথায় অতুলনীয় ।

একবার ১৯২৯ সালে মহাত্মা গান্ধী এই স্থানে ভ্রমণ করে অভিভূত হয়েছিলেন । কৌশানির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে তিনি এই শহরকে ভারতের সুইজারল্যান্ড হিসেবে আখ্যা দেন । পরবর্তী কালে গান্ধীজীর এই স্মৃতিবিজড়িত স্থানটিকে গান্ধী আশ্রমে পরিণত করা হয় । বর্তমানে এটি একটি রিসার্চ সেন্টার।
গান্ধীজীর বই এবং চিত্র সহযোগে এটি একটি মিউজিয়ামে পরিণত হয়েছে।এই সংগ্রহশালাও এখানে এসে ঘুরে দেখলাম এবিং ইতিহাসের সাক্ষী থাকলাম।

আবার পরবর্তী ভ্রমনের অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে আসবো খুব তারাতাড়ি। দেখতে থাকুন।