কালী তীর্থ – চুঁচুড়ার বামা খ্যাপার প্রতিষ্ঠিত কালী
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
বাংলার হুগলি জেলার চুঁচুড়ার রয়েছে সত্যময়ী কালী মন্দির। এই মন্দির নিয়ে আছে একাধিক অলৌকিক ঘটনার উল্লেখ।স্বয়ং বামা ক্ষ্যাপা এই মন্দিরে দক্ষিনা কালী মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
আজকের কালী তীর্থ পর্বে এই প্রাচীন কালী মন্দির নিয়ে লিখবো।
চুচুড়ার বিখ্যাত দাসী পিসির গঙ্গার ঘাট
যার নামে তার প্রকৃত নাম সত্যময়ী দেবী। তিনি ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় গড়ে তুলেছিলেন এই গঙ্গার ঘাট সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কালী মন্দির।
বিগ্রহ নিমকাঠের তৈরী ।
বাংলার ১২৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সেই মূর্তি।
যেহেতু এই বিগ্রহ সত্যময়ী দেবী নিজের বাড়িতে তৈরি করিয়েছিলেন।তাই এলাকাবাসীর কাছে এই মূর্তি পরিচিতি পায় সত্যময়ী কালী নামে।
বহু কাল আগে সত্যময়ী দেবী ও স্থানীয় এক কারিগর একইসময়ে পেয়েছিলেন দেবীর স্বপ্নাদেশ।সত্যময়ী দেবী স্বপ্নাদেশ পান যে গঙ্গায় ভেসে আসবে নিম কাঠ। স্বপ্নাদেশ পেয়ে কাঠটি গঙ্গা থেকে তুলে এনেছিলেন সত্যময়ী দেবী।কারিগর কে স্বপ্নে বলা হয়েছিল যে গঙ্গায় ভেসে যাওয়া নিমকাঠ নিয়ে দেবী মূর্তির গড়ে দিতে হবে। সেই মতো কারিগর এসে খোঁজ নেন সত্যময়ী দেবীর বাড়িতে। যা শুনে সত্যময়ী বুঝতে পারেন যে সব দেবীরই অলৌকিক লীলা। সেই মতো সূর্য অস্ত্র যাওয়ার আগে তৈরি করা হয়েছিল এই দেবীমূর্তি।দেবীর নির্দেশ মতো পারিশ্রমিক নেয়া হয় নয় টাকা মাত্র।
মন্দির তৈরী এবং প্রতিমা নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পরে বীরভূম থেকে সাধক বামা ক্ষেপা কে আনিয়ে এখানে মূর্তি প্রতিষ্ঠা হয়।বামাক্ষ্যাপা এখানে
দেবীর ঘটও প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছিলেন। সেই ঘট আজও এই বাড়ির মন্দিরে অবিকৃত অবস্থায় আছে।
আজও পুরোহিত হিসেবে বংশপরম্পরায় থাকেন পরিবারেরই এক সদস্য।
ভক্তদের দাবি এই দেবীর কাছে করা যেকোনো
প্রার্থনা দেবীর আশীর্বাদে পূরণ হয়।
ফিরে আসবো পরের পর্বে। কালী তীর্থর নতুন
পর্ব নিয়ে। থাকবে অলৌকিক ঘটনায় ভরা একটি দেবী মন্দিরের মাহাত্ম।পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।