ভক্তের ভগবান – কৃষ্ণভক্ত শ্রীল প্রভুপাদ

129

ভক্তের ভগবান – কৃষ্ণভক্ত শ্রীল প্রভুপাদ

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

একজন সাধারণ কৃষ্ণ ভক্তের ভক্তি কিভাবে গোটা বিশ্বে কৃষ্ণ প্রেমের ঝড় বইয়ে দিতে পারে এবং কিভাবে দশ বছরের সাধনায় একজন ভক্ত তার আরাধ্য ভগবানের আরো লাখ লাখ ভক্ত তৈরী করতে পারে তা ভক্তি বেদান্ত শ্রীল প্রভুপাদকে না জানলে বোঝা যায়না।

 

শ্রীল প্রভুপাদ অভয় চরণ দে 1 সেপ্টেম্বর, 1896-এ কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। যৌবনে তিনি মহাত্মা গান্ধীর আইন অমান্য আন্দোলনের সাথে জড়িত হন। পরবর্তীতে সংসারও করেন। তারপর অভয় 1933 সালে শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্তের শিষ্য হয়েছিলেন

কর্ম জীবন এবং সংসার জীবনের পর সত্তর বছর বয়সে শুরু হয় প্রভুপাদর সন্ন্যাস জীবন।

 

1965 সালে,প্রায় 70 বছর বয়সে, শ্রীল প্রভুপাদ একটি কার্গো জাহাজে চড়ে নিউইয়র্ক সিটিতে যান। জাহাজে 2টি হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন। সাথে ছিলো 7 ডলার এবং ধর্ম গ্রন্থ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে তিনি কৃষ্ণ চেতনার

শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে শুরু করেন।তৈরী করেন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ বা ইস্কন।

যা আজকের সময়ে বিশ্বের সর্ব বৃহৎ ধর্মীয় সংগঠন।

 

জীবনের শেষ প্রান্তে উপনীত হয়ে কিভাবে

একজন বৃদ্ধ সন্যাসী এই অসাধ্য সাধন

করলেন তা আশ্চর্যর বিষয়। আসলে এই ভক্তকে ভগবান নিজেই নির্বাচন করেছিলেন নিজের নাম প্রচার এবং প্রসারের জন্য। পদে পদে পরীক্ষাও নিয়েছেন। আমেরিকা গামী জাহাজে একের পর এক হার্ট এটাক ছিলো সেই পরীক্ষার অংশ।

সব পরীক্ষাতেই তার ভক্ত সফল ভাবে উত্তীর্ন হন।

 

শ্রীল প্রভু পাদের জন্মের বহু আগেই ভবিষ্যত বাণী ছিলো যে একজন এমন কৃষ্ণ ভক্ত অবির্ভুত হবেন যিনি ভারতের বাইরে কৃষ্ণর মহিমা প্রচার করবেন এবং অসংখ্য বিপথগামী নরনারী কে উদ্ধার করবেন। শ্রীল প্রভুপাদ সারা জীবন কৃষ্ণ নাম প্রচার করে পাপীতাপীদের উদ্ধার করেছেন।

 

কথিত আছে তার কীর্তন শুনতে আসতেন স্বয়ং নারদ মুনি। একাধিক বার প্রভুপাদ শ্রী কৃষ্ণর সাক্ষাৎ দর্শন লাভ করেছেন সব তার ভক্তদের সেই স্বর্গীয় অনুভূতি শুনিয়েছেন।শুধু মানুষ নয় একবার এক হানা বাড়িতে অশরীরীরাও তার কীর্তন শুনে সেই স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হন।

 

শ্রী কৃষ্ণের সঙ্গে প্রভুপাদ বাতসল্য ভাবে মিশতেন। নির্দ্বিধায় কৃষ্ণর ভোগের থালা থেকে পুজোর আগেই প্রসাদ তুলে চেখে দেখতেন এবং তারপর ভোগ নিবেদন করতে বলতেন।ভক্ত এবং ভগবানের মাঝের প্রাচীন যখন উধাও হয় তখন এমন টা হয়। এর জন্য সাধনার উচ্চ মার্গে পৌঁছাতে হয় যা শ্রীল প্রভুপাদ পেরে ছিলেন।

 

ফিরে আসবো এমনই আরো এক ভক্তের কথা নিয়ে।আগামী পর্বে। পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।