শক্তি পীঠ : কালী ঘাট (দ্বিতীয় ও অন্তিম পর্ব )

546

শক্তি পীঠ কালীঘাট নিয়ে এই বিশেষ পর্বের প্রথম পর্বে আমি আলোচনা করেছি দেবীর রূপ ও তার ব্যাখ্যা নিয়ে আর জেনেছি সনাতন ধর্মে এই বিশেষ পীঠটির তাৎপর্য |আপনাদের প্রথম পর্বে টি যথেষ্ট ভালো লেগেছে জেনে আমি আনন্দিত তাই দ্বিগুন উৎসাহ নিয়ে শুরু করছি কালীঘাট নিয়ে দ্বিতীয় ও অন্তিম পর্ব|আজকের পর্বে জানবো কালীঘাটের ইতিহাস তারসাথে জড়িয়ে থাকা নানা অজানা গল্প সাথে মন্দির নির্মাণের গোড়ার কথা|

কলকাতার ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করা ব্যক্তি দের একটি বড়ো অংশ মনে করেন এই কলকাতা নাম টির উৎপত্তি হয়েছে কালী ক্ষেত্র থেকে আর এই কালী কালী ঘাটের কালী|অর্থাৎ কলকতার নামের পেছনেও আছে এই বিশেষ পীঠ টির অবদান|

কথিত আছে বহু প্রাচীন কালে যখন এই অঞ্চল ছিলো ঘন অরণ্যে ঢাকা তখন এই গঙ্গা তীরবর্তী দুর্গম অঞ্চলে কষ্টি পাথরের দেবী মূর্তি গড়ে তাতে প্রান প্রতিষ্ঠা করেন ব্রহ্মনন্দ গিরি ও আত্মারাম ব্রহ্মচারি নামে দুই সন্ন্যাসী|বর্তমানে আমরা যে কালীঘাট মন্দির টি দেখতে পাই তা নির্মাণ করেন বিখ্যাত সাবর্ণ রায় চৌধুরী পরিবারের শিবদাস চৌধুরী 1809 সালে ও পরবর্তীতে মন্দির টি সংস্কার করেন এই পরিবারের অন্য আরেক জমিদার সন্তোষ চৌধুরী|

বর্তমান মন্দির টি তৈরী হয়েছে এক বিঘের কিছু বেশি পরিমান জমিতে এবং আনুমানিক খরচ হয়েছিলো 300000 টাকা |মন্দির টির উচ্চতা নব্বই ফুট|পাশ দিয়ে বয়ে গেছে আদি গঙ্গা ও অদূরে কেওড়া তলা মহা শ্মশান|চার পাশে ছড়িয়ে রয়েছে আরো অনেক গুলি রাধা কৃষ্ণ ও শিবের মন্দির|সব মিলিয়ে সর্বদা এক ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক পরিবেশ বিরাজ করছে এই বিশেষ শক্তি পীঠ কে কেন্দ্র করে যা ঠিক ভাষায় প্রকাশ করা যায়না অনুভব করতে হয়, শ্রদ্ধা ও ভক্তি দিয়ে|

এমনিতে প্রায় প্রতিদিনি ভক্ত দের ভিড় উপচে পড়ে কালীঘাটে তবে কিছু বিশেষ বিশেষ তিথিতে বিশেষ পূজাঅর্চনা অনুষ্ঠিত হয় |প্রতি বছর পয়লা বৈশাখ, দুর্গাপূজা ও দীপান্বিতা কালীপূজার দিন মন্দিরে প্রচুর ভক্ত ও পু্ণ্যার্থীর সমাগম ঘটে|

আজ এইখানেই শেষ করলাম এই বিশেষ শক্তি পীঠ নিয়ে লেখা আগামী পর্বে নিয়ে আসবো নতুন কোনো শক্তি পীঠের কথা|অপেক্ষা করুন আর দেখতে থাকুন আমার ইউটিউব চ্যানেল ও সি টি ভি এন এর পর্দায় আমার জোতিষ সংক্রান্ত অনুষ্ঠান |আর প্রয়োজন এ যোগাযোগ করতে ভুলবেন না, নাম্বার দেয়াই আছে |ধন্যবাদ|